KMC on hoardings: মুম্বই কাণ্ডের জের, শহরের সব হোর্ডিং-এর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ কলকাতা পুরসভার

মুম্বইয়ে বিজ্ঞাপনী হোডিং ভেঙে পড়ার পর সতর্ক হল কলকাতা পুরসভা। শহরে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে হোর্ডিংয়ের দায়িত্বে থাকা সমস্ত বিজ্ঞাপনী এজেন্সিগুলিকে ই-মেল পাঠাল পুরসভা। 

মুম্বইয়ে হোডিং ভেঙে পড়ার ঘটনায় অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৭৮। গত সোমবার সন্ধ্যায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টির জেরে ঘাটপোখর এলাকায় একটি বিশাল হোডিং ভেঙে পড়ে। ওই হোডিং-এর নিচে বহু মানুষ চাপা পড়েন। বিপর্যয় মোকাবিলা দল ৭৮জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। 

আরও পড়ুন। জাহাজ-ভেসেল থেকে গঙ্গা দূষণ রুখতে আনা হবে বিশেষ যান, পদক্ষেপ মমতা সরকারের

হোডিং নিয়ে উদ্বেগ

এই ঘটনার শহর কলকাতার হোডিং নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মেয়র। তারপরই বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলিকে ই-মেল করে তাদের অধীনে থাকা হোডিংগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে পুরসভা। শহরে যে হোডিংগুলি আছে তাদের কাঠামো লোহার। রাস্তার ধারে, আবাসনের ছাদে বা গায়ে যে হোডিংগুলি লাগানো হয়েছে, তাদের অবস্থা কী তা জানতে চেয়েছে পুরসভা। সেগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তার শংসাপত্র কলকাতা পুরসভাকে দিতে হবে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।

পুরসভা সূত্রে খবর, শহরে ছোট বড় প্রায় তিন হাজার হোর্ডিং রয়েছে। 

 বর্তমানে হোডিংগুলি কী অবস্থায় রয়েছে তার কোনও তথ্যই পুরসভার কাছে নেই। তাই বর্ষা শুরু আগে সেই তথ্য পেতে চাইছে পুরসভা। এজন্য প্রায় ৭০টি এজেন্সিকে ই-মেল করা হয়েছে।

আরও পড়ুন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পাঠক্রমে জ্যোতিষ, বাদ দিতে উদ্যোগী কর্তৃপক্ষ

আর পড়ুন। FD-তে সুদের হার প্রায় ১% বাড়াল SBI! কোন ফিক্সড ডিপোজিটে কত রেট? রইল পুরো তালিকা

জমা দিতে হবে ফিট সার্টিফিকেট 

পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সংস্থাগুলি হোডিং-এর দায়িত্ব নেওয়ার সময় একটি ‘স্টেবিলিটি সার্টিফিকেট’ জমা করে। এর সঙ্গে বায়ুর চাপ নিতে সক্ষম কিনা তার ,জন্য ‘উইন্ড প্রেসার স্টেবিলিটি’ সার্টিফিকেটও জমা দিতে হয়।। কিন্তু তা করা হয় একবারই। লাইসেন্স রিনিউ হলে তখন আর এই সব সার্টিফিকেট দিতে হয় না। ফলে হোডিংগুলির কী অবস্থায় রয়েছে তা জানা সম্ভব নয় পুরসভার পক্ষ থেকে। তাই আগামী দিনে হোডিং-এর লাইসেন্স রিনিউ করানোর সময় এই দুই শংসাপত্র দিয়ে লাইসেন্স রিনিউ করানো যাবে।  

আরও পড়ুন। হাল ছেড়োনা বন্ধু! ইংরেজি পরীক্ষার পরেই নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন, কলকাতার সেই ছাত্রীই পাশ করলেন প্রথম বিভাগে