SSC Scam: SSC দুর্নীতির তদন্তে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগেও গরমিলের গন্ধ, খতিয়ে দেখছে সিবিআই

SSC নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে রাজ্যে পুর নিয়োগ দুর্নীতির সন্ধান পেয়েছে ED ও CBI. তদন্তের সূত্র ধরে এবার আরও একটি দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন গোয়েন্দারা। তাদের অনুমান উচ্চ প্রাথমিকে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার নিয়োগেও দেদার দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। সত্যিই দুর্নীতি হয়েছে কি না জানতে আপাতত ই-মেইল হাতড়াচ্ছে সিবিআই।

আরও পড়ুন: শ্রমিকের কাজ করতে মুসলমানরা যখন BJPশাসিত রাজ্যে যান তখন কি ইমামরা ঘুমান? শুভেন্দু

পড়তে থাকুন: ইন্ডি জোটকে বাইরে থেকে সমর্থন ঘোষণা, মমতার রাজনৈতিক চাল নিয়ে নানা মুনির নানা মত

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ই-মেইলএর তথ্য সংগ্রহ করে সম্প্রতি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে সিবিআই। সেই ই-মেইলের সূত্র ধরেই গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন শুধুমাত্র নাইসার ২ কর্তা নন, কার কার নম্বর বদলাতে হবে সেই তালিকা সংস্থার এক কর্মীর কাছেও পাঠিয়েছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা। এমনকী সফলভাবে নম্বর বদলে দেওয়ায় নাইসা কর্তা নীলাদ্রি দাসকে এসএসসির তরফে ভেট পাঠানো হয়েছিল। সেই প্রমাণও এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, সফল ভাবে SSCর নম্বর বদলের পর নাইসাকে আরও একটি নিয়োগ প্রক্রিয়ার বরাত দিয়েছিল SSC. উচ্চ প্রাথমিকে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার নিয়োগে কার কার নম্বর বদলাতে হবে সেই তালিকাও পৌঁছেছিল নীলাদ্রির কাছে। নীলাদ্রিকে তালিকা ই-মেইল করেছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা। সেই ইমেল ইতিমধ্যে উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন: অভিযোগ তুলতে ১০ লক্ষ টাকার প্রস্তাব দিয়েছিল TMC, দাবি সন্দেশখালির নির্যাতিতার

SSC নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলবন্দি রয়েছেন সংস্থার উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি শান্তিপ্রসাদ সিনহা। তবে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন নাইসার কর্তা নীলাদ্রি দাস। SSCর ২০১৬ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়া হাইকোর্ট বাতিল করে দিলেও সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। তবে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগে যে দুর্নীতির আশঙ্কা গোয়েন্দারা করছেন তা নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন তাঁরা। সেখানেও SSCর মতো নম্বরে কারচুপি হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।