Viral: পাকিস্তানে বড়া পাও বিক্রি করছেন ‘কবিতা দিদি’! করাচির চোখের মণি এই হিন্দু মেয়ের স্টল

বাংলার নন্দিনী দিদি আর করাচির কবিতা দিদি, বর্তমানের ইন্টারনেট সেনসেশন হয়ে উঠেছে। পাকিস্তানের করাচির এই হিন্দু মেয়ে নিজের রুচির কারণে লাইমলাইটে উঠে এসেছেন। ‘কবিতা দিদি’ নামে পরিচিত এই পাকিস্তানি ফুড ব্লগার তার একটি খাবারের স্টলের ভিডিয়ো শেয়ার করেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছেন। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এই ক্লিপটি অনেক পছন্দও করছেন। ভিডিয়োতে কী এমন দেখিয়েছেন ওই মেয়ে।

পাকিস্তানের এই হিন্দু পরিবারটি করাচি শহরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ফুড কার্ট চালিয়ে আসছে, যেখানে নিরামিষ এবং আমিষ উভয় ধরনের খাবারই পাওয়া যায় এখানে। কারমত খান নামের ফুড ভ্লগার ‘ইনস্টাগ্রাম’-এ এই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। তিনিই জানিয়েছেন যে, হিন্দু পরিবারটি এই কার্টে, গুজরাটি সহ অনেক ধরনের ভারতীয় খাবার তৈরি করে। করাচি কেন্ট রেলওয়ে স্টেশনের কাছে রয়েছে এই ফুড কার্ট, দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ সেখানে কবিতা দিদির খাবারের স্বাদ নিতে আসেন। খাদ্যপ্রেমীরা খাবারের কার্ট চালানো মহিলাকে ডাকেন ‘কবিতা দিদি’ বলে। তাই তো শেয়ার করার সময় ক্লিপের ক্যাপশনে, ফুড ভ্লগার লিখেছেন, ‘কবিতা দিদির ভারতীয় খাবার। হিন্দু পরিবারটি বড়া পাও এবং পাও ভাজি বিক্রি করে।’

যে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে, সেখানে কবিতা দিদিকে বলতে শোনা গিয়েছে যে, বড়া পাও মুম্বাইতে খুব বিখ্যাত। এখন করাচির মানুষও এটা পছন্দ করেন। এই ভিডিওটি ইন্টারনেটে ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত ১.৫ লক্ষেরও বেশি বার দেখা হয়েছে। মন্তব্যে, দুই দেশের মানুষই মহিলার রুচির প্রশংসা করছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘সমস্ত পাকিস্তানিদের উচিত আমাদের বোনকে সমর্থন করা।’ অন্য একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, ‘পাকিস্তানে ভারতীয় খাবার যেমন ভারতে পাকিস্তানি খাবারও তেমনই জনপ্রিয়। এই ভালোবাসা দেখে ভালো লাগছে।’ তৃতীয় একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘দিল্লির ভাইরাল বড়া পাও গার্লের চেয়ে এই মেয়েটি ভালো।’

আসলে, সম্প্রতি দিল্লি থেকেও ভাইরাল হয়েছে বড়া পাও গার্ল। যেখানে দিল্লির বাসিন্দারা রাস্তার খাবারে তাদের প্রথম পছন্দ হিসাবে মোমো, ছোলা ভাটুরে বা দই ভল্লাকেই স্বীকৃতি দেয়। সেখানে আজকাল ‘বড়া পাও ওয়ালি’ এখানকার মানুষের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। এই মহিলারও অনেক ভিডিয়ো ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। অনেক জায়গা থেকে ভাদা পাভ খেতে এখানে আসা মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেদের পালার অপেক্ষায় থাকেন।