Waibhav Anil Kale: গাজাতে মৃত্যু ভারতের প্রাক্তন সেনা আধিকারিকের, এক মাস আগে পোস্টিং দিয়েছিল UN

প্রাক্তন ভারতীয় সেনা আধিকারিক বৈভব অনিল কালে। তিনি গাজাতে রাষ্ট্রসংঘের পক্ষে কাজ করছিলেন। মৃত্যু হয়েছে তাঁর। খান ইউনুস এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। গাড়িতে ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবর এসেছে তাঁর থানের বাড়িতে। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। মাত্র ৪৬ বছর বয়সে চলে গেলেন তিনি। 

সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে কথা বলেছে তাঁর পরিবার। অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেলের কাকিমা মুগ্ধা অশোক কালে জানিয়েছেন, যখন আমরা বৈভবের কথা জানতে পারলাম তখন ভীষণ কষ্ট হয়েছে। এখনও আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না যে সে আর নেই। সম্প্রতি তার সম্পর্কে আমরা কিছু জানতে পারছিলাম না। তবে এখনও বিশ্বাস করি তার আত্মা আমাদের সঙ্গেই আছে। এই কঠিন সত্যকে মেনে নিতে পারছে না আমাদের মন। আমাদের খালি মনে হচ্ছে যে বৈভব এখনও বেঁচে আছে। 

প্রথমে ভারতীয় সেনাতে কর্মরত ছিলেন তিনি। পরে তিনি রাষ্ট্রসংঘের স্টাফ হিসাবে যোগ দেন। তাঁর ভাইপো চিন্ময় অশোক কালে এএনআইকে জানিয়েছেন, অত্যন্ত কর্মচঞ্চল ছিলেন তিনি। পরিবারের প্রতিও তাঁর দায়িত্ববোধ ছিলেন। যখনই সময় পেয়েছেন তখনই আমাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দেশপ্রেম। দাদুর ইচ্ছায় তিনি আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বার বার পরীক্ষায় বসেও সফল হচ্ছিলেন না। কিন্তু তিনি ভেঙে পড়েননি। শেষ পর্যন্ত তিনি দাদুর ইচ্ছা পূরণ করেন। তিনি ভারতীয় সেনা বাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। 

অজিতা কালে, তাঁর অপর এক আত্মীয়া জানিয়েছেন, যখন তিনি আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন তখন তিনি তাঁর সবটা দেশের জন্য দেওয়ার জন্য় তিনি তৈরি ছিলেন। 

রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশন কালের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। তারা এক্স হ্যান্ডেলে শোকবার্তা জানিয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। কর্ণেল বৈভব কালের মৃত্যুতে। তিনি গাজাতে রাষ্ট্রসংঘের আওতায় কর্মরত ছিলেন। সেখানকার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি দেখছিলেন। তাঁর পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি। 

রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে বার্তায় বলা হয়েছে, রাফাতে ইউরোপিয়ান হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময় গাড়িটিতে আঘাত লাগে। একজনের মৃত্যু হয় ও অপরজন আহত হন। সেক্রেটারি জেনারেলও এই ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত। 

প্রসঙ্গত রাফাহতে তাঁদের গাড়িতে আক্রমণ করা হয়েছিল। তার জেরেই মৃত্যু হয়। সিকিউরিটি সার্ভিস কো অর্ডিনেটর হিসাবে তিনি কর্মরত ছিলেন। মাস খানেক আগে তাঁকে গাজাতে পাঠানো হয়েছিল। সেখানেই সব শেষ।