ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার ১২ নম্বর খৈয়াছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হক জুনুকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বনানী থানার পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বড়তাকিয়া বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। মাহফুজুল হক জুনু উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মসজিদিয়া (চৌধুরীপাড়া) এলাকার মৃত আব্দুর রউফের ছেলে।

গত ২২ এপ্রিল ঢাকার বনানী থানাধীন পার্ক-সংলগ্ন এলাকায় বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি আছিফুর রহমান শাহীনকে হত্যার উদ্দেশে হামলার ঘটনায় চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক জুনুকে প্রধান আসামি করে আরও ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট তৃতীয় আদালতে মামলা করা হয়। এই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে, ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক জুনুকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এদিন রাত ১০টায় বড়তাকিয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়ে যুবলীগ নেতা মাহফুজ ও উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানার নেতৃত্বে বিক্ষোভ করে স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং পুলিশ এসে অবরোধকারীদের সরিয়ে দিলে প্রায় আধা ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মীরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক জুনুকে ডিএমপির বনানী থানার ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলায় তিনি এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি।’

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) সোহেল সরকার বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়তাকিয়া অংশে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিই। এ সময় প্রায় ৩০ মিনিট যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে জানমালের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক জুনুকে গ্রেফতারের ঘটনায় তার নেতাকর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক জুনুকে আইনি সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে অবরোধকারীদের আশ্বস্ত করা হলে তারা মহাসড়ক থেকে সরে যায়। অবরোধে কোনও ধরনের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়নি। তারা প্রায় ৩০ মিনিট মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিল।’