Mumbai Hoarding Collapse Incident: মুম্বইতে হোর্ডিং বিপর্যয়ের ঘটনায় গ্রেফতার মালিক, প্রাণ গিয়েছে ১৬জনের

মুম্বইতে হোর্ডিং বিপর্যয়ের ঘটনায় হোর্ডিংয়ের মালিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। মালিকের নাম ভবেশ ভিন্দে। মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ তাকে গ্রেফতার করেছে। খবর এএনআই সূত্রে। উদয়পুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে মুম্বই আনা হচ্ছে। হোর্ডিং ভেঙে অন্তত ১৪জনের মৃত্যু হয়েছিল। 

এদিকে মুম্বইয়ে ঘাটকোপারের এই হোর্ডিং বিপর্যয়ের ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। ঠিক কী হয়েছিল? 

মুম্বইয়ের উপকণ্ঠে অবস্থিত ঘাটকোপরে ঝড়ের জেরে ভেঙে পড়ে যায় এক বিশাল আকারের বিলবোর্ড। সেই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও আরও ৭৪ জন আহতকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ভেঙে পড়ে সেই বিলবোর্ডটির ওজন প্রায় ২৫০ টন। এটি প্রায় ১০০ ফুট উঁচু ছিল। তবে নিয়ম অনুযায়ী, ৪০X৪০ আকারের থেকে বড় হোর্ডিংয়ের অনুমতি দেয় না পুরসভা। এদিকে এই হোর্ডিং যেখানে ছিল, তার পাশেই নাকি রেলের জমির ওপরে বিশাল আকারের আরও চারটি হোর্ডিং আছে। তবে ভারতীয় রেল সেই হোর্ডিংয়ের দায় নিতে অস্বীকার করেছে। এদিকে পুরসভা বলছে, বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেই হোর্ডিং নিয়ে তারা আপত্তি জানিয়ে চলেছে।

এদিকে এই হোর্ডিং ভেঙে পড়ার ঘটনায় ১৬জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘাটকোপারের একটি পেট্রোল পাম্পের বিশাল হোর্ডিং ভেঙে পড়ার সময় অবসরপ্রাপ্ত এটিসি ম্যানেজার মনোজ চানসোরিয়া (৬০) এবং তাঁর স্ত্রী অনিতা (৫৯) তাঁদের গাড়িতে ছিলেন। মুম্বইয়ে প্রবল ধুলোঝড়ের মধ্যে পেট্রোল পাম্পের উপর পড়ে যাওয়া বেআইনি হোর্ডিংয়ের নীচে যে ৯০ জন আটকে পড়েছিলেন তার মধ্যে এই দম্পতিও ছিলেন।

সোমবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মুম্বইয়ের এটিসি গেস্ট হাউস থেকে গাড়িতে করে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পর থেকে মনোজ ও অনিতা কোথায় ছিলেন, তা জানা যায়নি।

ঘাটকোপারে যেদিন হোর্ডিং ভেঙে পড়ে, সেদিন মনোজের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে ঘটনাস্থল শনাক্ত করা হয়। এই দম্পতি তাদের গাড়িতে তেল ভরার জন্য ছেদা নগর পেট্রোল পাম্পে থেমেছিলেন। পরে তাদের গাড়িটি ধ্বংসস্তূপের নীচে শনাক্ত করা হয় এবং এনডিআরএফ দম্পতিকে উদ্ধারের জন্য সেই ধ্বংসস্তুপ সরানোর চেষ্টা করে।

এনডিআরএফ-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই রাতেই হোর্ডিং-এর পাঁচটি গার্ডারের মাঝের প্রধান গার্ডারের নীচে একটি গাড়ির ভিতরে দুটি দেহ আটকে রয়েছে। ত্রাণ দল হামাগুড়ি দিয়ে গাড়িতে ওঠার চেষ্টা করলেও গার্ডার না সরিয়ে ওই দম্পতির কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ওই দম্পতির শেষ মোবাইল লোকেশন ছেদা নগর পেট্রোল পাম্পে জানতে পেরে তিনি ও তাঁর স্ত্রী সেখানে আটকে পড়ার আশঙ্কায় ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত তাদের দেহ উদ্ধার করা হয়। 

এদিকে দেশের বিভিন্ন শহরেই এই ধরনের হোর্ডিং থাকে। সেক্ষেত্রে একবার ভেঙে পড়লে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।