Blast near Madrasa in Bihar: বিহারে মাদ্রাসার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত্যু হল মৌলানার, গুরুতর আহত ছাত্র

মাদ্রাসার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক মৌলানার। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছে এক ছাত্র। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সারান জেলার মতিরাজপুর গ্রামে। মৃতের নাম হল মৌলানা ইমামুদ্দিন (৪০)। তিনি সারানের ওলহানপুর গ্রামের বাসিন্দা। আগামী সোমবার এই অঞ্চলে ভোটগ্রহণ রয়েছে। তার আগে বিস্ফোরণের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।  

আরও পড়ুনঃ বিস্ফোরণে উড়ল টালির চাল, পড়ল দেওয়াল, মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের পর এবার বেলডাঙা

জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ইমামুদ্দিন এবং ছাত্র নূর আলমকে (১৫) দ্রুত পাটনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই পথে ইমামুদ্দিনের মৃত্যু হয়। আহত ছাত্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই ছাত্র নূর আলম মুজফ্ফরপুর জেলার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, ওই মাদ্রাসার কাছেই সেখানে একটি বলের মতো বস্তু দেখতে পেয়েছিল ওই ছাত্র। তাতে সন্দেহ হয় মৌলানার। তিনি তখন ছাত্রের কাছ থেকে ওই বস্তুকে নিয়ে দূরে ফেলে দেন। তখনই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে দুজনেই মারাত্মকভাবে আহত হন। ছাত্রকে বাঁচানো গেলেও মৌলানাকে বাঁচানো যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ।

সারানের পুলিশ সুপার গৌরব মঙ্গলা জানান, একটি ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং নমুনা সংগ্রহ করেছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই স্পষ্টভাবে জানা যাবে, সেটি আদতে বোমা নাকি কোনও বাজি ছিল। 

তিনি জানান, গারখা থানার অন্তর্গত মতিরাজপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রের দেওয়া বয়ান থেকে পুলিশ জানতে পারে, প্রথমে সে ওই বলের মতো বস্তু দেখতে পেয়েছিল। তার কাছ থেকে সেটি কেড়ে নিয়ে ফেলে দিতে গেলেই বিস্ফোরণ ঘটে। 

উল্লেখ্য, ওলহানপুর বেআইনি বাজি তৈরির জন্য কুখ্যাত। স্থানীয়দের দাবি, বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে ১ কিলোমিটার দূর থেকে শব্দ শুনতে পাওয়া গিয়েছিল। স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়, ইমাম মাদ্রাসায় বাজি তৈরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল এবং একটি ডগ স্কোয়াড বিস্ফোরণের সঠিক কারণ খুঁজে বের করার জন্য ঘটনাস্থল পরীক্ষা করেছে। এই ঘটনায় তদন্তের জন্য একটি সিট গঠন করা হয়েছে।ঘটনার পরে পুলিশ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক পদার্থ আইনের ৫ ধারা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি এবং ২৮৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে। অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।