বিধান নগরে ফিরুক বাঙালি সংস্কৃতি, এমন দাবি নিয়ে মাছ-ভাত উৎসব বাংলা পক্ষের

বিধান নগরে বাঙালি সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনা— এমনই একটা দাবিতে মাছ-ভাত উৎসবের আয়োজন করল বাংলা পক্ষ। রবিবার, ৯ জুন সল্টলেক বিএফ ব্লকের সুইমিং পুলের সামনে দুপুরে হল এই উৎসব। কী বললেন উদ্যোক্তারা? দেখে নেওয়া যাক।

উৎসবের আগেই বাংলা পক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ‘বাঙালির অনেক স্বপ্ন নিয়ে সল্টলেক তৈরি করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়। কিন্তু সল্টলেক বহিরাগতদের দখলে।’ সংগঠনের বক্তব্য, ‘বাঙালির ঘর-বাড়ি, জমি, ফুটপাথ, খেলার মাঠ সব দখল হয়ে গিয়েছে।’ এমনকী দুর্গাপুজো কমিটিগুলিও দখল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘বাঙালির মাছ-ভাত কেড়ে নিরামিষ চাপিয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য কাজও করছে বহিরাগতরা। বারবার সল্টলেকে আক্রান্ত হচ্ছে বাঙালি।’

(দেখুন ভিডিয়ো: সিএএ নিয়ে পথসভা চলাকালীন বাংলা পক্ষর নেতার ওপর হামলা, অভিযুক্ত বিজেপি)

এহেন পরিস্থিতিতে বাঙালির ক্ষমতা বিধাননগরে বাড়াতে অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হল এই সংগঠনের তরফে। সেটিই হল মাছ ভাত উৎসব।

বাংলা পক্ষের তরফে বলা হয়, ‘মাছে-ভাতে প্রতিরোধ গড়তে রবিবার সল্টলেকের বিএফ ব্লকের সুইমিং পুলের পাশে মাছ-ভাত উৎসব করল বাংলা পক্ষ।’ মাছ ভাত, ডাল, সবজি ও দই মিষ্টিতে জমে ওঠে এই উৎসব। গরমের মধ্যেও সল্টলেকের প্রচুর মানুষ মাছ-ভাত উৎসবে যোগ দেন। সংগঠনের দাবি, এখানে অনেকে বাংলা পক্ষেও যোগদান করেছেন। সব মিলিয়ে ৫০০-৬০০ মানুষ নাকি এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। শুধু বাঙালি নন, অনেক অবাঙালিও নাকি এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এমনই দাবি করা হয়েছে সংগঠনের তরফে। এখানেই শেষ নয়। শেষে প্রতীকি ভাবে শুটকি মাছ ভাজাও হয়।

বাংলা পক্ষের মাছ-ভাত উৎসব

(আরও পড়ুন: ‘দেশে চাই বাংলাপন্থী সরকার, বাঙালির জন্য সরকার, আমরা আর বঞ্চনা সহ্য করব না’)

কোনও হিংসা বা হানাহানি তাদের উদ্দেশ্য নয় বলেও দাবি করা হয়েছে বাংলা পক্ষের তরফে। আগামী দিনে সল্টলেকের বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করতে আরও নানা অভিনব কর্মসূচী নেবে বাংলা পক্ষ— এমনই জানানো হয়েছে তাদের তরফে। নিউ টাউন, দমদম এবং কলকাতার নানা আবাসনেও নাকি এই ধরনের কর্মসূচী নিতে চলেছে তারা।

(আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বাংলা বলতে হবে, দাবি ভোটকর্মীদের,’ ইংরেজিতে আজব পোস্ট গর্গের, হাসির রোল নেটপাড়ায়)

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য মনোজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, মনন মন্ডল এবং এমডি সাহীন। উত্তর ২৪ পরগনা শহরাঞ্চল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক পিন্টু রায়ের উদ্যোগে এই মাছ-ভাত উৎসব হয়।