পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে সরিয়ে দিল নবান্ন, আরও কয়েকটি রদবদল হতে চলেছে

বাংলায় বিজেপি পেয়েছে মাত্র ১২টি আসন। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ২৯টি আসন। গোটা দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। শরিক ধরে এখন এনডিএ সরকার গড়ে উঠেছে। রবিবার রাতেই হয়েছে শপথগ্রহণ। আর এবার দেখা গেল আদর্শ আচরণবিধি উঠে যেতেই আবার রাজ্যের প্রশাসনিক পদে রদবদল করা হল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসককে বদলি করা হল। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক জয়শী দাশগুপ্তকে সরিয়ে পূর্ণেন্দু মাজিকে জেলাশাসক করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। জয়শীকে প্রশাসনিক ও কর্মিবর্গ সংস্কারে স্পেশাল ডিউটিতে পাঠানো হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের সময় এই জেলার জেলাশাসক তানবীর আফজলকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। জয়শী দাশগুপ্তকে জেলাশাসক করে পাঠায়। তবে আপাতত নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা নবান্ন জানায়নি।

এদিকে আগামীকাল মঙ্গলবার ১১ জুন রিভিউ মিটিং করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বিকেল ৪টে নাগাদ এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। এই বৈঠকে পুলিশের এসপি, সিপি, আইজি, ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসারদেরও উপস্থিতি থাকতে বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে নবান্ন। লোকসভা নির্বাচনে পর এই প্রথম প্রশাসনিক বৈঠক করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে বদলি করা হল। নির্বাচনের প্রাক্কালে একাধিক জেলাশাসক বদল করে নির্বাচন কমিশন। অন্যান্য জেলায় এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ করা জেলাশাসক বদল করেনি রাজ্য সরকার। শুরু হল পূর্ব মেদিনীপুর দিয়ে। একের পর এক আমলা, পুলিশ বদলি করে নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন:‌ রাতে অকাল হোলি বনগাঁয়, ফাটল আতসবাজি, শান্তনু ঠাকুর শপথ নিতেই আনন্দ কর্মীদের

অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ও তমলুক কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচন হওয়ার আগে এই রদবদল করে নির্বাচন কমিশন। এই দুটি লোকসভা কেন্দ্রই বিজেপির দখলে গিয়েছে এবং তাতে কারচুপি আছে বলে দাবি খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর এবার লোকসভা নির্বাচন মিটে গিয়ে ফলাফল প্রকাশের পর নির্বাচন কমিশনের জেলাশাসক সরিয়ে দেওয়া হল। এই দুই লোকসভা কেন্দ্রের পোলিং অবজারভার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেছে বেছে বিজেপি এই কেন্দ্রে পোলিং অবজারভার পাঠিয়েছিল বলে অভিযোগ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং এই রদবদল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

এছাড়া নির্বাচনের প্রাক্কালে অফিসার, আমলা, পুলিশ বদলির নির্দেশের বিশেষ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের কাছেই থাকে। তারা প্রথমে বদল করেছিল পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এবং ঝাড়গ্রামের জেলাশাসকদের। ২০১০ সালের ব্যাচের আইএএস জয়শী দাশগুপ্তকে দায়িত্ব দেয় পূর্ব মেদিনীপুরের। পুরুলিয়ার জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কন্টাইয়ের এসডিপিও দিবাকর দাসকেও বদলি করে নির্বাচন কমিশন। ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক এবং পটাশপুর থানার ওসি রাজ কুণ্ডুকে সরানো হয়।