OC Meghnad Mondal: রানীগঞ্জে সাত ডাকাতের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে একলা লড়লেন আইসি মেঘনাদ, টেবিলের তলায় লুকিয়ে পড়া পুলিশ নয়

বাংলার পুলিশের বিরুদ্ধে নানা সময়ে নানা অভিযোগ ওঠে। তবে রানিগঞ্জে ডাকাতদের বিরুদ্ধে একলা লড়ে উর্দির মান রক্ষা করলেন এই বাংলারই এক পুলিশ আধকারিক। পুলিশের বিরুদ্ধে নানা সময় অভিযোগ উঠেছে যে থানার টেবিলের তলায় ফাইল আড়াল করে লুকিয়ে পড়েছে পুলিশ। কিন্তু সেই পুলিশের একটা অন্যদিকও আছে। রানীগঞ্জের জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মেঘনাদ মণ্ডল সেই সাহসী পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে একজন। রবিবার তিনি কার্যত সাত ডাকাতের বিরুদ্ধে একাই লড়ে যান। মেঘের আড়াল থেকে নয়, বুক চিতিয়ে একলা লড়াই। এমনকী ডাকাতরা যখন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে তখন তাদের তাড়াও করেন তিনি। তিনিই রিয়েল লাইফ হিরো। তিনি মেঘনাদ মণ্ডল।ঠিক যেন সিনেমা! 

রানিগঞ্জের সেনকো গোল্ড সোনার দোকানে ডাকাতি চালাতে এসেছিল ডাকাতদল। নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করে ডাকাতি শুরু করে। এদিকে সেই সময় ব্যক্তিগত কাজে রাস্তার উলটো দিকের দোকানে এসেছিল শ্রীপুর পুলিশ ফাঁড়ির ওসি। আচমকাই সোনার দোকান থেকে কয়েকজনকে বের হতে দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। 

এদিকে ওদিক লোকজন ছোটাছুটি করছে এটা দেখেই দ্রুত পজিশন নেন ওই সাহসী পুলিশ আধিকারিক। আড়াল বলতে একটা ইলেকট্রিকের পোস্ট। তার পেছন থেকেই গুলি চালান ওই আইসি। গুলি লাগে এক ডাকাতের পায়ে। সিঁড়িতেই পড়ে যায় সে। এরপর অন্য ডাকাতরা গুলি চালাতে থাকে। তাদের হাতে কার্বাইন। আর আইসির হাতে সার্ভিস রিভালবার। কিন্তু এলাকা ছাড়েননি তিনি।

সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা গিয়েছে সিঁড়িতে পড়ে যায় কালো হেলমের পরা এক ডাকাত। আসলে তার পায়ে গুলি লাগে। এরপর পালটা গুলি চালাতে শুরু করে ডাকাতদল। তারপর কোনওরকমে বাইক স্টার্ট দিয়ে আহত ডাকাতকে মাঝে চাপিয়ে বেরিয়ে যায় তারা। কিন্তু তখনও ছাড়ার পাত্র নন মেঘনাদ। সিভিল ড্রেসে ছিলেন তিনি। তিনি ওই ডাকাতদের পেছনে তাড়া করেন একাই। কিন্তু ততক্ষণে তারা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পালিয়ে যায়। কিন্তু আহত ডাকাতকে নিয়ে যাওয়ার জন্য় তারা রাস্তাতেই গুলি চালিয়ে একটা গাড়ি ছিনতাই করে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। গিরিডিতে ওই গাড়ি ধরে ফেলে পুলিশ।

এদিকে ডাকাতদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন রাস্তায় নাকা চেকিং করে। বিভিন্ন গাড়িতে, বাইকে তল্লাশি চালানো হয়। তবে আইসির কথা আজ মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। তাঁর সাহসিকতা, কর্তব্যে অবিচল মনোভাবকে কুর্নিশ করছেন সাধারণ মানুষ।