Raniganj Robbery: রানীগঞ্জের ডাকাতিতে বিহারের গ্যাং, কোমরে গুলি,পালাচ্ছিল ডাকাত, ধরা পড়ল গিরিডিতে

একেবারে সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায় এই ছবি। একের পর এক ডাকাতরা ঢুকছে সোনার দোকানে। হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। লুঠ চালিয়ে বের হওয়ার সময়ই বিপত্তি। তাদের পথ আটকায় সাহসী পুলিশ আধিকারিক মেঘনাদ মণ্ডল। এক ডাকাতের পায়ে লাগে গুলি। সেই অবস্থাতেই বাইকের মাঝে ওই ডাকাতকে চাপিয়ে তারা পগার পার। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। 

বিহারের মোস্ট ওয়ান্টেড ডাকাত সুরজ সিংকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার পায়ে গুলি লেগেছে বলে খবর। বিহারের গোপালগঞ্জের পুলিশও তাকে খুঁজছিল। তারা একটা গাড়িও ছিনতাই করেছিল। সেই গাড়িটিকেও উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

গিরিডি জেলা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে নিয়ে বিহারে পালাতে চেয়েছিল ডাকাতদলটি। ধৃতের বাড়ি বিহারের গোপালগঞ্জে। ঝাড়খণ্ড হয়ে বিহারে গা ঢাকা দিতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু ধরা পড়ে যায় সে। 

এদিকে একটি বাইকে তিনজন। অপর বাইকে চারজন পালিয়েছিল। রানীগঞ্জ থেকে আসানসোল যাওয়ার রাস্তায় মহিশীলা কলোনির চক্রবর্তী মোড়ে একটি গাড়ি ছিনতাই করে তারা। এরপর সেই গাড়ি নিয়ে পালায় তারা। বাইক দুটি ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। তবে রবিবার রাতেই পুলিশের টিমও গিরিডিতে চলে যায়। চলে তল্লাশি। 

এদিকে সুরজের কোমরে গুলি লেগেছিল। সেকারণে তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। এরপরই সে ধরা পড়ে যায়। কিন্তু কোথায় গেল বাকিরা? ধৃত ডাকাত পুলিশকে জানিয়েছে তারা সরাইয়ের জঙ্গলের দিকে পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশ ওই জঙ্গলেও তল্লাশি চালাচ্ছে। 

তবে ডাকাতদের ধরার পেছনে এক পুলিশ আধিকারিকের ভূমিকার কথাও সামনে আসছে। রানীগঞ্জের জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মেঘনাদ মণ্ডল রবিবার কার্যত সাত ডাকাতের বিরুদ্ধে একাই লড়ে যান। মেঘের আড়াল থেকে নয়, বুক চিতিয়ে একলা লড়াই। এমনকী ডাকাতরা যখন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে তখন তাদের তাড়াও করেন তিনি। তিনিই রিয়েল লাইফ হিরো। তিনি মেঘনাদ মণ্ডল। ঠিক যেন সিনেমা!

সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা গিয়েছে সিঁড়িতে পড়ে যায় কালো হেলমের পরা এক ডাকাত। আসলে তার পায়ে গুলি লাগে। এরপর পালটা গুলি চালাতে শুরু করে ডাকাতদল। তারপর কোনওরকমে বাইক স্টার্ট দিয়ে আহত ডাকাতকে মাঝে চাপিয়ে বেরিয়ে যায় তারা। কিন্তু তখনও ছাড়ার পাত্র নন মেঘনাদ। সিভিল ড্রেসে ছিলেন তিনি। তিনি ওই ডাকাতদের পেছনে তাড়া করেন একাই। কিন্তু ততক্ষণে তারা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পালিয়ে যায়। কিন্তু আহত ডাকাতকে নিয়ে যাওয়ার জন্য় তারা রাস্তাতেই গুলি চালিয়ে একটা গাড়ি ছিনতাই করে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। গিরিডিতে ওই গাড়ি ধরে ফেলে পুলিশ।