Sheikh Shahjahan: ১৯৮ কোটির লেনদেন! শাহজাহানের টাকা গিয়েছে তৃণমূলের তহবিলেও, দাবি করল ইডি

শেখ শাহজাহান। সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা। তাঁর নামে কার্যত চলত সন্দেশখালি। অবৈধ ভেরি থেকে তৃণমূলের সংগঠন সবটাই চলত তার নিয়ন্ত্রণে। তিনি বর্তমানে জেল বন্দি। এবার ইডি সোমবার আদালতে জানিয়ে দিল, দলীয় তহবিলে টাকা জমা দিয়েছে শেখ শাহজাহান। একেবারে বিরাট দাবি ইডি। আর এই দাবির সঙ্গে জড়িয়ে গেল শাসকদলের নাম। 

এদিকে সোমবার শেখ শাহজাহানের জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনও খারিজ করা হয়েছে। বিচারক জানিয়েছেন, আপাতত তাঁকে জেল হেফাজতেই থাকতে হবে। অন্যদিকে চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, শাহজাহান ও তার ঘনিষ্ঠদের টাকা গিয়েছে তৃণমূলের তহবিলে। 

সোমবার শাহজাহান ছাড়াও তার সঙ্গী হিসাবে পরিচিত শিবপ্রসাদ হাজরা ও দিদার বক্স মোল্লাকেও হাজির করানো হয়। 

এদিকে এবার লোকসভা ভোটের আগে সন্দেশখালিতে গিয়ে মহিলাদের মুখে বার বারই শোনা গিয়েছিল এই শিবু হাজরার নাম। চাষের জমিকে ভেরিতে পরিণত করা, মহিলাদের উপর অত্যাচার. আর্থিক প্রতারণা সহ একাধিক অভিযোগ করেছিলেন সেখানকার মহিলারা। তবে ইডি জানিয়েছে জেলিয়াখালিতে ভেরি তৈরির নামে ৯০০ বিঘা জমি দখল করেছিলেন শিবু হাজরা। 

এদিকে সূত্রের খবর ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত দলীয় তহবিলে প্রচুর টাকা দিয়েছেন তারা। শাহজাহানের আরও পাঁচ ঘনিষ্ঠের খোঁজ চলছে। তারা শাহজাহানের কালো টাকা সাদা করতে সহায়তা করেছে।  ইডির দাবি ২০১৮-২০২৩ সাল পর্যন্ত শাহজাহানের এক সংস্থায় ১৯৮ কোটি ৫২ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে বলেও তথ্য় উঠে এসেছে। তবে সেটা কতটা সোজা পথে হয়েছে, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। 

এদিকে এর আগে ইডি তার বিবৃতিতে জানিয়েছিল, শেখ শাহজাহান গোটা এলাকায় একেবারে দুষ্কৃতীরাজ কায়েম করেছিল। জমি ছিনিয়ে নেওয়া, অবৈধভাবে মাছের ভেড়ি তৈরি করা, অবৈধভাবে কর বা লেভি আদায় করা ও জমি বেচাকেনার জন্য কমিশন আদায় করা, ইট ভাটা কেড়ে নেওয়া সহ একাধিক ক্ষেত্রে শাহজাহান তার সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিল। কার্যত বলা হল লোনা জলে সোনা ফলে…উল্লেখ ছিল ইডির চার্জশিটে।

এদিকে তদন্তে নেমে ইডি অনেকের সঙ্গে কথা বলে।কৃষক, আদিবাসী, মাছের ব্যবসায়ী, এজেন্ট, আমদানিকারক, জমির মালিক, ঠিকাদার, সহ অনেকজনের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

ইতিমধ্য়ে ইডির তরফে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্য়ে শাহজাহান ও তার ভাই আলমগীরের গাড়ি রয়েছে।

এদিকে এর আগে ইডি একাধিক স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। সব মিলিয়ে ২৭.০৮ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

তদন্তে দেখা গিয়েছিল, প্রায় ২৬১.৪১ কোটির অপরাধ ( প্রসিডস অফ ক্রাইম) সংগঠিত করেছিল বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন।