TMC worker murdered: ভোট পরবর্তী হিংসার আবহে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন TMC কর্মী, নেপথ্যে কারণ কী?

লোকসভা নির্বাচন মিটতেই জেলায় জেলায় চলছে ভোট পরবর্তী হিংসা। আক্রান্ত হচ্ছেন বিরোধীরা। সেই আবহে মুর্শিদাবাদে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন এক তৃণমূল কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে। দুষ্কৃতীরা তাকে লক্ষ্য করে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। কার্যত দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান ওই তৃণমূল কর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। এই খুনে ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। এক্ষেত্রে ভোট পরবর্তী হিংসা নাকি পুরনো শত্রুতার কারণে খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: নদিয়ায় নৃশংস খুনে আলোড়ন, গুলি করে মুণ্ড কেটে হত্যা, শিউরে উঠলেন মানুষজন

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই তৃণমূল কর্মীর নাম সনাতন ঘোষ। তিনি পেশায় একজন দুধ ব্যবসায়ী। সনাতন হরিহরপাড়া থানার পাড়াগ্রামের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, প্রতিদিনকার মতোই তিনি ব্যবসায়িক কাজ সেরে রাতে বাড়িতে ফিরছিলেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা তার পথ আটকায় এবং তাকে লক্ষ্য করে কয়েক গ্রাউন্ড গুলি চালায়। দুষ্কৃতীদের গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। এরপর গুলি শব্দ শুনে স্থানীয়রা সেখানে ছুটে আসেন। তার আগেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু, সেখানে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর সনাতন দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, এই খুনের পিছনে বিজেপির চক্রান্ত রয়েছে। কারণ লোকসভা ভোটে সনাতন তৃণমূলের হয়ে ব্যাপকভাবে প্রচার করেছিলেন। ফলে তাকে নিশানা করেছিল বিজেপি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, যে খুন করেছে সে নিজেও দুষ্কৃতী। এটা তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। 

এদিকে, স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, বছর কয়েক আগে হরিহরপাড়া এলাকায় বাদল ঘোষ নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছিলেন। সেই খুনে নাম জড়িয়েছিল সনাতনের। অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম হলেন সনাতন। খুনের পরে সনাতন এবং তার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ঘরছাড়া ছিল। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পুরনো শত্রুতা এবং জমি বিবাদের জেরে এই খুন। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত আরও চলছে।