ক্রেতা সেজে সোনার দোকানে ডাকাতি, ডোমজুড়ে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুটপাট এক কোটি

রানিগঞ্জের পর এবার হাওড়ার ডোমজুড়ে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটল। ক্রেতা সেজে প্রথমে সোনার দোকানে প্রবেশ, তারপরেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুটপাট চালাল দুষ্কৃতীরা। দোকানের মালিককে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। রানিগঞ্জে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিল বিহারের গ্যাং। সেই গ্যাং এই ঘটনার সঙ্গেও জড়িত কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: রানিগঞ্জে দিনেদুপুরে ডাকাতি, চলল পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদলের রুদ্ধশ্বাস গুলির লড়াই!

আজ মঙ্গলবার বেলা ১২ টা ২০ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, ওই সোনার দোকানে প্রথমে কয়েকজন খদ্দের সেজে আসে। তারা বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখতে দেখতে আরও বেশ কয়েকজন দোকানে আসে। তারপরেই দুষ্কৃতীদের প্রকৃত চেহারা সামনে আসে। দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে দোকানে যা কিছু আছে সব দিয়ে দিতে বলে এবং লুটপাট শুরু করে। 

এদিকে, দোকান মালিক এর প্রতিবাদ করতেই তাঁকে দুষ্কৃতীদের মধ্যে একজন বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয় বলে বলে অভিযোগ। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে দোকানে লুটপাট চালায় ডাকাতদল। এরপর গহনা ব্যাগভর্তি করে  সেখান থেকে চম্পট দেয়। 

জানা যাচ্ছে, দুষ্কৃতীরা হাওড়া আমতা রোড ধরে পালিয়ে যায়। সবমিলিয়ে এদিনের লুটপাটের ঘটনায় চার জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।আসেন সিটি পুলিশের উচ্চপদস্থ অধিকারিক গোয়েন্দারা। এদিকে, দুষ্কৃতীদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি শুরু করে হাওড়া সিটি পুলিশ। 

দোকান মালিক জানান, লুটপাট হওয়া সোনা এবং রুপোর গয়নার বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি। দোকানে থাকা সিসিটিভিতে ধরা পড়ে ডাকাতির দৃশ্য। তাতেই দেখা যাচ্ছে কীভাবে দুষ্কৃতীরা সোনা ও রুপোর গহনা ব্যাগে ভর্তি করছে। সিসিটিভিতে পাওয়া ফুটেজ অনুযায়ী, দুষ্কৃতীদের বয়স খুব বেশি নয়। তার মধ্যে একজনের মাথায় হেলমেট ছিল। তবে সিসিটিভিতে সকলের মুখ স্পষ্টভাবে দেখা গিয়েছে। এখন সেই ছবি দেখিয়ে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। 

এই ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রাজ্য পুলিশের সিআইডির প্রতিনিধি দল। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছে। উল্লেখ্য, রানিগঞ্জে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে রুদ্ধশ্বাস গুলির লড়াই চলেছিল ডাকাতদলের। তাতে জখম হয়েছিল দুই ডাকাত। পরে সেই চুরির ঘটনায় গ্রেফতার করে পুলিশ। তাতে বিহারের গ্যাং জড়িত ছিল। ডোমজুড়ের ক্ষেত্রেও সেই গ্যাং জড়িত কি না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।