প্রোটিয়াদের হারাতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১১৪ রান

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত শুরু পেয়েছিলো বাংলাদেশ দল। পেসার তানজিম সাকিব ও তাসকিনের দারুণ বোলিংয়ে ২৩ রানেই প্রথম ৪ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। এরপর দলের হাল ধরেন মিলার ও ক্লাসেন। শুরুর ধাক্কা সামলে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিতে বাংলাদেশকে করতে হবে ১১৪ রান। 

নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে টস জিতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আগে ব্যাটিং নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ওভারের শেষ বলে দারুণ এক ডেলিভারিতে প্রোটিয়া ওপেনার রেজা হেনড্রিকসকে  এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তানজিম সাকিব। 

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসে আবারও সাফল্য পান তানজিম। সরাসরি স্টাম্প ভাঙেন কুইন্টন ডি ককের। এরপর তানজিমের দলে যোগ দেন তাসকিনও। প্রোটিয়া অধিনায়ক মার্করামকে ফেরান তিনি। বাংলাদেশকে শুরুতেই দারুণ মোমেন্টাম এনে দেওয়া তানজিম নিজের তৃতীয় ওভারে প্যাভিলিয়নে ফেরান স্টাবসকে (০)। 

ধীরে পরিস্থিতি সামলে উঠতে থাকেন হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। দুজনের জুটি বড় হতে থাকে, আসে রানও। রিশাদ হোসেন তার প্রথম দুই ওভারে দেন ২০ রান। তাকে টানা দুই বলে ছক্কা হাঁকান ক্লাসেন।  সাকিব এক ওভারে ৬ রান দেন। এর মধ্যে শান্ত বোলিংয়ে নিয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। প্রথম দুই ওভারে ৭ রান দিয়ে আস্থার প্রতিদান তিনি। তার করা প্রথম বলেই ডেভিড মিলারের ক্যাচ উইকেটের পেছনে ছাড়েন লিটন দাস। 

১৮তম ওভারে গিয়ে অবশেষে এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তার ভেতরে ঢোকা দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড হয়ে যান ক্লাসেন। ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৪৪ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন ক্লাসেন। ইনিংসের শেষ অবধি ব্যাট করতে পারেননি ডেভিড মিলারও। রিশাদের করা ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এর আগে ৩৮ বলে একটি চার ও সমান ছক্কায় ২৯ রান করেন মিলার। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। 



সালাউদ্দিন/সাএ