Anurag Thakur: মন্ত্রী হতে না পারলেও বড় উপহার পেতে পারেন অনুরাগ

এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাননি অনুরাগ ঠাকুর। এদিকে এবার জেপি নড্ডা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন। কিন্তু সেখানে জায়গা পাননি অনুরাগ ঠাকুর। হামিরপুর থেকে পঞ্চমবারের জন্য় জয়ী  হয়েও তিনি এবার মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি। তবে সূত্রের খবর, সংগঠনগতভাবে তাঁকে এবার বিরাট জায়গায় নিয়ে আসা হতে পারে। 

এদিকে মোদী যখন প্রথমবারের জন্য মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন তখন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন জেপি নড্ডা। এবারও তিনি হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। 

এদিকে অনুরাগ ঠাকুর ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য় ও সম্প্রচারমন্ত্রকের দায়িত্বে। এবারও তিনি ১.৮২ লাখ ভোটে জয়ী হয়েছেন। অনেকেই ভেবেছিলেন তিনি হয়তো এবার মন্ত্রিসভায় জায়গা পাবেন। কিন্তু সেটা হল না। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, হয়তো দল অনুরাগকে নিয়ে নতুন কিছু ভাবছে। সেই নিরিখে অনুরাগকে সাংগঠনিক দিক থেকে বড় পদ দেওয়া হতে পারে। 

অনেকের মতে হিমাচল প্রদেশে ২০২৭ সালে বিধানসভা ভোট আসছে। তার আগে অনুরাগ ঠাকুরকে সাংগঠনিক বড় দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে মন্ত্রিসভায় জায়গা না পেয়ে প্রকাশ্যে কোথাও অভিমান প্রকাশ করেননি অনুরাগ ঠাকুর। 

একটি বিবৃতিতে অনুরাগ ঠাকুর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁর মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভার ওই সদস্যরা কাজ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উপযোগী। উন্নয়নের জন্য দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা কাজ চালিয়ে যাবেন।

অনুরাগ জানিয়েছেন, তিনি দলের কাজ চালিয়ে যাবেন। সমান আত্মত্যাগের সঙ্গে তিনি এই কাজ চালিয়ে যাবেন। তিনি জানিয়েছেন, আমাদের মূল কাজটা হল যাতে দেশ আরও এগিয়ে যায়। আমরা সকলে একসঙ্গে হেঁটে যাব। কারণ ভারত খুব গুরুত্বপূর্ণ, মোদী সরকার খুব গুরুত্বপূর্ণ, দেশের উন্নয়ন খুব গুরুত্বপূর্ণ। মোদীর নেতৃত্বের প্রতি তিনি তাঁর পূূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।

মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার পরে সাধারণত কিছু অসন্তোষের ছবি দেখা যায়। তবে অনুরাগ ঠাকুর অন্তত প্রকাশ্যে তেমন কোনও অসন্তোষ প্রকাশ করেননি। তিনি পুরোপুরি মোদী মন্ত্রিসভার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন।