Yogi Adityanath: অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন যোগী আদিত্যনাথ, উত্তরপ্রদেশে লজ্জার ফলাফল বিজেপির!

নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় সরকারে দফতর ঘোষণার আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন।

যোগী আদিত্যনাথ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং নীতিন গড়করির সাথেও তাঁদের বাসভবনে বৈঠক করেছিলেন।

রবিবার মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নীতিন গডকড়ী-সহ ৩০ জন সাংসদ। রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশি-বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এক জমকালো অনুষ্ঠানে শপথ নেন তাঁরা।

লোকসভার ফল ঘোষণার পর এই প্রথম অমিত শাহের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করলেন যোগী আদিত্যনাথ।

সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ভারতীয় জনতা পার্টি ৩২টি আসন কম পেয়েছে। ২৪০টি আসন পেয়ে বিজেপি অবশ্য দেশের একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে।

গত সপ্তাহে বিজেপির নেতৃত্বে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স সরকার গঠিত হয়। বিজেপি এখন লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার (২৭২) জন্য তার জোটসঙ্গী এন চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতীশ কুমারের উপর নির্ভর করছে।

লোকসভায় মোট এনডিএ-র সদস্য সংখ্যা হবে ২৯৩। নির্বাচনে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফল করা বিরোধী দল ইন্ডিয়া জোটের হাতে রয়েছে ২৩৪ জন সাংসদ ।

২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিরাট বিজয়ের পরে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হয়ে ওঠা উত্তরপ্রদেশে বিজেপির পারফরম্যান্স বিশেষত হতাশাজনক ছিল। ২০১৭ ও ২০২২ সালে দুটি বিধানসভা নির্বাচনেও জয়ী হয়েছিল দলটি।

যোগী আদিত্যনাথ ২০২২ সালে বিজেপির উত্তরপ্রদেশ প্রচারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশে ৬০টির বেশি আসন জেতা বিজেপি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তা কমে দাঁড়ায় ৩৩টিতে। অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বাধীন সমাজবাদী পার্টি, যা এক্সিট পোলের দ্বারা লিখিত হয়েছিল, অপ্রত্যাশিতভাবে ৩৭ টি লোকসভা আসন নিয়ে রাজ্যে একক বৃহত্তম দল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল।

বুথ ফেরত সমীক্ষায় ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল যে বিজেপি উত্তরপ্রদেশে তৃতীয়বারের জন্য় বিরাট জয় পাবে। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি। 

গত মাসে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছিলেন, নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ ক্ষমতায় ফিরলে যোগী আদিত্যনাথকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।

রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেন। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাও ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন, যা জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে যে দল শীঘ্রই তাদের নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করতে পারে।