Non-vegetarian city in india: শুধুমাত্র নিরামিষই পাওয়া যাবে একটি শহরে, ভারতের প্রথম কোনও শহর এই সিদ্ধান্ত নিল

অনেক রেস্টুরেন্ট রয়েছে যেখানে আমিষ খাবার পাওয়া যায় না, আবার অনেক বাড়িতেও আমিষ খাবার রান্না করা হয় না। অনেকেই আছেন যারা চিরকাল নিরামিষ খেয়ে থাকেন। কিন্তু তা বলে আস্ত একটি শহর হয়ে যাবে নিরামিষ? হ্যাঁ, ভারতের বুকে এমন একটি শহর রয়েছে, যে শহরের একটি মানুষও আমিষ খাবার খান না।

গুজরাটের ভাবনগর জেলায় অবস্থিত পালিতানা শহরে আমিষ খাবার পুরোপুরি নিষিদ্ধ, এটি বিশ্বের প্রথম শহরে যাকে বলা হয় নিরামিষ শহর। পালিতানা গুজরাটের একটি ছোট্ট শহর, যাকে জৈনদের পবিত্রতম তীর্থস্থান বলা হয়। এই শহরটিকে জৈন মন্দিরের শহরও বলা হয়।

(আরও পড়ুন: মাওয়া ঘাটের স্বাদ এবার বাড়িতেই, এই পদ্ধতিতে সহজেই বর্ষায় বানিয়ে নিন ইলিশের লেজ ভর্তা!)

শত্রুঞ্জয় পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই শহরটি ভারতের জৈন অনুগামীদের কাছে এই শহরটি অন্যতম একটি ধর্মীয় শহর রূপে পরিচিত। এই শহরে রয়েছে আদিনাথ মন্দির সহ ৮০০টির বেশি মন্দির। এই শহরে শুধু আমিষ খাওয়া নিষিদ্ধ তা নয়, বিক্রি করাও নিষিদ্ধ আমিষ খাবার দাবার।

২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট গুজরাট সরকার পালিতানাকে ‘মাংস মুক্ত’ অঞ্চল ঘোষণা করেছিল। তারপর থেকেই শুধু মাংস নয়, ডিম, মাছ এমনকি আমিষ জাতীয় প্রত্যেকটি খাবার এই শহরে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। জানলে অবাক হবেন, এই শহরে মাছ ধরাও নিষিদ্ধ।

(আরও পড়ুন: ‘কল গার্ল’ বলে মহিলার নম্বর ফাঁস ইন্টারনেটে! অভিযুক্ত PG মালিককে গ্রেফতার করল পুলিশ)

বলা হয়, জৈন নীতির পক্ষে অনশন করেছিলেন ২০০ জন জৈন সন্ন্যাসীরা। তাঁদের দাবি ছিল শহরের ২৫০টি কসাইয়ের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হোক। দীর্ঘ অনশনের পর এই শহরে মাংস নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। এই শহরের অর্থনীতি পুরোটাই নির্ভর করে থাকে শহরের নিরামিষ রেস্তোরাঁ গুলির ওপর। এই নিরামিষ রেস্তোরাঁগুলিতে তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের সমাগম সবসময় চোখে পড়ে।