FIFA WC 2022: Lionel Messi Can Break Multiple Records In Semi Final Clash Vs Croatia

দোহা: লুসেইল স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হতে চলেছে আর্জেন্তিনা (Argentina vs Croatia)। অনেকেই মনে করছেন এই ম্যাচে মূল লড়াইটা দুই ‘এলএম১০’ লিওনেল মেসি (Lionel Messi)-লুকা মদ্রিচের মধ্যে হতে চলেছে। মেসি ফের একবার বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছতে পারেন, না কি গত বারের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়াই আবার ফাইনালে উঠে, সেই দিকেই সকলের নজর। ঘটনাক্রমে এই সেমিফাইনাল ম্যাচেই একগুচ্ছ নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলতে পারেন আর্জেন্তাইন কিংবদন্তি মেসি। 

কোন কোন রেকর্ড গড়তে পারেন মেসি?

মেসি বিশ্বকাপে মোট ২৪টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামলেই তিনি বিশ্বকাপে লোথার ম্যাথেউজের সর্বকালীন সর্বাধিক ম্যাচ খেলার রেকর্ডে ভাগ বসাবেন। তেমন চোট আঘাত না থাকলে সেমিফাইনালের ফলাফল যাই হোক, মেসি এই বিশ্বকাপেই আরও একটি ম্যাচ খেলতে পারেন। সেমিফাইনালে জিতলে ফাইনাল তো আছেই, নাহলে তৃতীয় স্থান দখলের ম্যাচে খেলবে আর্জেন্তিনা। লা আলবিসেলেস্তের হয়ে সেমিফাইনালের পর সেই ম্যাচে ও মাঠে নামলে এককভাবে মেসির দখলেই এই রেকর্ডটি চলে আসবে।

মেসি ও রাফা মার্কেজ, উভয়ই অধিনায়ক হিসাবে বিশ্বকাপে ১৮টি ম্যাচ খেলেছেন। সেমিফাইনালে অধিনায়ক হিসাবে মাঠে নামলে সেই রেকর্ডও এককভাবে চলে আসবে মেসির দখলে। 

News Reels

পাওলো মালদিনি বিশ্বকাপে সর্বাধিক ২২১৭ মিনিট খেলেছেন। মেসি আপাতত বিশ্বকাপে মোট ২০১৪ মিনিট ফুটবল খেলেছেন। সেমিফাইনাল ম্যাচটি যদি অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় এবং মেসি যদি শেষ পর্যন্ত খেলেন, তাহলে তিনি মালদিনির এই রেকর্ডও ভেঙে দেবেন।

বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে পেলে সর্বাধিক ছয়বার গোলের অ্যাসিস্ট দিয়েছেন। নক আউটে মেসির দখলে রয়েছে পাঁচটি অ্যাসিস্ট। সেমিতে তিনি জোড়া অ্যাসিস্ট দিলে এই রেকর্ড চলে আসবে মেসির দখলে। 

বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনার হয়ে মেসি ও গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা, উভয়েই ১০টি করে গোল করেছেন। আজ গোল করলেই তিনিই বিশ্বকাপের মঞ্চে আর্জেন্তিনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে যাবেন। 

ক্রোয়েশিয়ার ভরসা

কাতার বিশ্বকাপে (Fifa World Cup 2022) ফুল ফোটাচ্ছে ক্রোয়েশিয়ার মাঝমাঠ। লুকা মদ্রিচ, মার্সেলো ব্রোজোভিচ ও মাতেও কোভাসেভিচ। যে ত্রয়ীকে নিয়ে ধন্য ধন্য পড়ে গিয়েছে। ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচ বলে দিচ্ছেন, ‘বিশ্বের সেরা মাঝমাঠ আমাদের।’ ব্রাজিলকে হারিয়ে উঠে দালিচ বলেছিলেন, ‘আমরা ওদের থেকে বল ছিনিয়ে নিয়েছিলাম। কখনও তাড়াহুড়ো করিনি। আমরা হয়তো বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারিনি তবে যেটুকু করার করেছি।’

জুরানোভিচ বলছেন, ‘ব্রোজোভিচ, মদ্রিচ ও কোভাসেভিচ মাঝমাঠে থাকা মানে ম্যাচের নব্বই শতাংশ আমরাই নিয়ন্ত্রণ করব।’ ব্রাজিলের বিরুদ্ধেও মাঝমাঠের দখল হারায়নি ক্রোয়েশিয়া। ৫০-৫০ বলের দখল রেখেছিল। ইউরোপের সেরা পর্বে ক্লাব ফুটবল খেলেন তিন তারকাই। আর সেই অভিজ্ঞতা তাঁদের আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে।

আরও পড়ুন: কারা খেলবেন আর্জেন্তিনার প্রথম একাদশে? কোন ছকে দল সাজাচ্ছেন স্কালোনি?