কংগ্রেস গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্য ছাড়া অন্য নেতাদের সম্মান দেয় না বলে বহু বছর ধরেই অভিযোগ করে এসেছে বিজেপি। মোদী জমানায় সেই অভিযোগের শান আরও ধারালো হয়েছে। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে বারবার তোপ দেগেছেন মোদী। আর এবার কর্ণাটকে গিয়ে ‘মল্লিকার্জুন খড়গের অপমান’ নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি শিবামোগ্গায় অভিযোগ করেন, গান্ধী পরিবারের অপমানের শিকার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে। পাশাপাশি মোদীর দাবি, সবাই জানে যে কংগ্রেসের আসল রিমোট কার কাছে আছে। (আরও পড়ুন: ৮২৫ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করেও এক পয়সা ঢুকল না কৃষকের পকেটে! কী হচ্ছে দেশে?)
বেলগাভীত এক সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কর্নাটককে কংগ্রেস কতটা ঘৃণা করে তার উদাহরণ মল্লিকার্জুন খড়গে। তাঁর মতো এ রাজ্যের প্রথম সারির, বর্ষীয়ান এক নেতাকে গান্ধীরা যেভাবে অপমান করছেন, তা দেখলেই বোঝা যায়। কংগ্রেসের কাছে খড়গে শুধুমাত্র একটা নাম। সকলেই জানেন রিমোট কন্ট্রোল কার হাতে।’ উল্লেখ্য, চলতি বছরে কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বিতর্ক মানুষের সামনে তুলে ধরে বিজেপির পথ সুগম করার কৌশল অবলম্বন করেছেন মোদী। আর তাই কন্নড় খড়গের ‘অপমানে’র কথা তুলে ধরে গান্ধীদেরকে আক্রমণ শানান মোদী।
উল্লেখ্য, চিরকালই গান্ধী ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন খড়গে। কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে ‘অফিশিয়াল’ প্রার্থী হিসেবে ধরা হয়েছিল তাঁকে। প্রত্যাশা মতোই দলের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। তবে নির্বাচনের সময় থেকেই তাঁকে ‘গান্ধীদের রিমোট কন্ট্রোল’ বলে অভিহিত করা হয়েছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল থেকে। তিনি নিজে দাবি করেছিলেন, তিনি কারও রিমোট কন্ট্রোল নন।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ বছরে এই প্রথম গান্ধী পরিবারের বাইরে কেউ কংগ্রেসের সভাপতি পদে বসছেন। জগজীবন রামের পরে দ্বিতীয়বার কোনও দলিত নেতা হিসেবে কংগ্রেসের সভাপতি হন খড়গে। শ্রমিক সংগঠন করার সময় তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। রাজ্য রাজনীতিতে বার বার মুখ্যমন্ত্রিত্বের চেয়ারের খুব কাছেও গিয়েও কোনওবারই মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি তিনি। মনমোহন সিং মন্ত্রিসভায় তিনি রেলমন্ত্রী ও শ্রমমন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে তিনি রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতাও। তবে এই বর্ষীয়ান নেতা দলের সভাপতি হলেও বিজেপির অভিযোগ, কংগ্রেসের রাশ গান্ধীর হাতেই রয়েছে।