Nandigram: নন্দীগ্রাম রেল প্রকল্পের কাজ শুরুর নির্দেশ, কৃতিত্ব কার?‌ রাজনৈতিক তরজা শুরু

আন্দোলনের জায়গার নাম নন্দীগ্রাম। এবার এপ্রিল মাসেই নন্দীগ্রাম রেল প্রকল্পের কাজ শুরু হতে চলেছে বলে খবর। দীর্ঘদিন ধরে এই রেলপথের দিকে চেয়ে আছেন নন্দীগ্রামবাসী। এই রেলপথ করার উদ্যোগ প্রথম নিয়েছিলেন তৎকালিন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই মাঝের সময়ে এই প্রকল্প নিয়ে কাউকে তোড়জোড় করতে দেখা যায়নি। রেলমন্ত্রক এখন কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। তাই এই সপ্তাহেই প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করতে আসছেন দক্ষিণ–পূর্ব রেলের কর্তারা।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ নন্দীগ্রামে রেল যোগাযোগের জন্য আগেই জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। আরও কিছু জমি লাগবে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলতে চায় রেল কর্তৃপক্ষ। প্রায় ১৮.৫ কিলোমিটার রেলপথ তৈরি হবে নন্দীগ্রামে। আর রেল মন্ত্রকের অনুমতি মিলতেই এই প্রকল্পের অর্থ পেতে আর কোনও অসুবিধা হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন। তার বহু পরে শুভেন্দু অধিকারী এবং ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী রেলমন্ত্রীকে এই প্রকল্পে সাড়া দিতে অনুরোধ করেন।

ঠিক কী বলছে রেল?‌ নন্দীগ্রামের রেল প্রকল্প নিয়ে দক্ষিণ পূর্ব রেলের সিপিআরও আদিত্য চৌধুরী বলেন, ‘‌এলাকার সমীক্ষা করে কোথা দিয়ে রেলপথ যাবে সেটা চূড়ান্ত করতে হবে। তারপর সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে রেলমন্ত্রকে। এমনকী এই প্রকল্প বাবদ কত খরচ হবে তার বাজেটও তৈরি করা হবে। আর রেল মন্ত্রক এই কাজের অনুমতি দেওয়ায় এখন আর কোনও অসুবিধা হবে না।’‌

নন্দীগ্রাম রেল প্রকল্পের কৃতিত্ব কার?‌ সম্প্রতি এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী রেলমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন। স্থানীয় সাংসদ হিসাবে দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‌দেশপ্রাণ–নন্দীগ্রাম রেল প্রকল্পের জন্য আবার কেন্দ্রের অনুমোদন মিলেছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। আমি বারবার রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে নন্দীগ্রাম প্রকল্প শুরু করার আবেদন জানিয়েছিলাম। রেলমন্ত্রী সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন বলে আমি ভীষণ খুশি।’‌ পাল্টা নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, ‘‌বাংলার উন্নয়নের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নন্দীগ্রাম থেকে বাজকুল পর্যন্ত বর্ধিত রেললাইনের সূচনা করেছিলেন। রেল মন্ত্রক বাধ্য হয়েছে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের কাছে নতি স্বীকার করতে।’‌