বাইরন নিয়ে নতুন করে সাগরদিঘির জল ঘোলালেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি কংগ্রেস নয় বিজেপি করতে চেয়েছিলেন বাইরন বিশ্বাস। যোগাযোগ করেছিলেন তাঁর সঙ্গেও। কিন্তু তিনি বারণ করেন গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে।
বুধবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমি ওকে চিনি। ও একসময় বিজেপি করতে চেয়েছিল। আমি বারণ করেছিলাম। বলেছিলাম, তুমি ব্যবসায়ী বাড়ির ছেলে। বিজেপি করলে তোমার ব্যবসা করতে অসুবিধা হবে। তুমি যেহেতু সংখ্যালঘু, তোমাকে স্বীকৃতি দেবে না। কয়েক বছর আগের কথা।’
তাঁর আরও সংযোজন, ‘কংগ্রেস ওঁকে পেতে প্রচুর টাকা খরচ করেছে। ও রাজনীতির লোক নয়। বাইরনকে সামনে রেখে সংখ্যালঘু সমাজ তৃণমূলকে একটা শিক্ষা দিয়েছে। কংগ্রেস-সিপিএমের কিছুই ছিল না। এখনও নেই। ল্যাংটার নেই বাটপাড়ের ভয়।’
তবে এই দলবদলে সংখ্যালঘুদের বাইরন ‘ধোঁকা’ দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন,’সংখ্যালঘু সমাজ তৃণমূলকে যে শিক্ষা দিতে চাইছিল, তারাও এখন ধোঁকা খেয়ে গেলেন।’
যদিও এই ‘ধোঁকা’ দেওয়ার বিষয়টি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর অস্বীকার করেন বাইরন। তাঁর দাবি, তিনি মানুষকে ধোঁকা দেননি। আবার যদি ভোট হয়, তবে তিনি সেই ভোটে জিতে প্রমাণ করে দেবেন, তাঁকে কতটা পছন্দ করেন এলাকাবাসী।
সোমবার তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রার মঞ্চ থেকে দলে যোগ দেন বাইরন বিশ্বাস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন তিনি। এ নিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে তিনি যা জানার জেনেছেন কাগজ থেকে।
উপনির্বাতনের আগে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাইরনকে একাধিক মামলা দেওয়া হয়। সেই প্রসঙ্গ তুলে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল ২ থেকে ৩ টে গোল খেয়েছে। বাইরন ভোটে দাঁড়ানোর আগেই তাঁর নামে একের পর এক কেস দিয়েছিল। তাঁকে কিছুটা বাধ্য করা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে চটিয়ে কেউ ব্যবসা করে খেতে পারবে না। বাইরনও ব্যবসায়ী। কৃষ্ণ কল্যাণী, অর্জুন সিং, সবাইকেই তাই আমরা এ ভাবে সারেন্ডার করতে দেখেছি।’