KMC on parking: পার্কিংয়ে মৌরসিপাট্টা ভাঙতে টেন্ডারের শর্ততে বদল আনছে কলকাতা পুরসভা

‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে কলকাতার পার্কিং পরিষেবা নিয়ে নানা অভিযোগ এসেছে। এজেন্সির বিরুদ্ধে কার্যত জুলুমবাজির অভিযোগ এনেছেন শহরবাসী। তাই দুর্নীতি রুখতে, এজেন্সির মৌরসিপাট্টা ভাঙতে টেন্ডারের শর্তে বদল আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। এর সঙ্গে কলকাতায় আরও পাঁচটি নতুন পার্কিং জোন তৈরির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা।

পুরসভার সূত্রে খবর, টেন্ডারের নতুন শর্তে বলা হয়েছে, বাধ্যতামূলক ভাবে ই-পস মেশিন ব্যবহার করতে হবে। পুরসভার নির্ধারিত মূল্যের বেশি পার্কিং ফি নিলে জরিমানা হবে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। জরিমানা থেকে পার্কিং ফি সব কিছুই ই-পস মেশিনের মাধ্যমে করতে হবে।

সূত্রের খবর, পার্কিং-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলিকে বরাতের সময়সীমাও কমানো হচ্ছে। আগে ১৫ বছরের জন্য বরাত দেওয়া হতো। এখন সেই সময়সীমা কমিয়ে ৫ বছর করা হচ্ছে।

শহরে পার্কিংয়ের বরাত দেওয়ার সময় অনলাইনে টেন্ডার ডাকবে পুরসভা। আগামী ১৭ আগস্ট থেকে টেন্ডারে অংশ নিতে পারবেন আগ্রহী সংস্থাগুলি।

(পড়তে পারেন। ছোট বাণিজ্যিক গাড়িতে কর ফাঁকি প্রায় ৫ হাজার কোটি, চিন্তায় নবান্ন)

চলতি বছরের প্রথম দিকে পার্কিংয়ের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। কিন্তু তাতে ক্রটি থাকার কারণে তা তুলে নেওয়া হয়। সেই ত্রুটি দূর করে নতুন শর্ত দিয়ে টেন্ডার ডাকতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।

পুর আধিকারিকদের মতে, কলকাতার পার্টি লটগুলির দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল। নির্দিষ্ট মূল্যের অতিরিক্ত ফি নেওয়া, ই-পস মেসিনের ঠিক মতো ব্যবহার না করা। পুর আধিকারিকরা মনে করছেন, দীর্ঘদিন ধরে পার্কিং-এর দায়িত্বে থাকার ফলে সংস্থাগুলো এই ধরনের ‘বেআইনি’ কাজকর্ম নিজেদের অধিকার মনে করে নিয়েছিল। তা ভাঙতেই টেন্ডারের শর্তে এই বদল আনা হয়েছে।

(পড়তে পারেন। কলকাতা মেট্রো রেলের ভাড়া কি বাড়তে চলেছে?‌ জমা পড়া রিপোর্টে বড় ইঙ্গিত)

পুরসভার আয় বৃদ্ধি জন্য পার্কিং ফি বৃদ্ধি জরুরি বলে মনে করছেন পুর আধিকারিকরা। এ ব্যপারে বছরের গোড়ার দিকে একবার ফি বৃদ্ধির ঘোষণা করলেও, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে তা থেকে পিছিয়ে আসতে হয়। পরে একটি প্রস্তাব আকারে নবান্নের কাছে তা পাঠানো হয়। সেটি বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর বিচারাধীন। ওই প্রস্তাবে, কলকাতার সঙ্গে দেশের অন্যান্য শহরের পার্কিং ফির তুলনা করা হয়েছে। সেটি নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় নবান্ন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে কলকাতা পুরসভা।