South Koreans will become younger: ১-২ বছর করে বয়স কমে যাবে দক্ষিণ কোরিয়ার সকলের! সরকারই নিচ্ছে এমন উদ্যোগ

হ-য-ব-র-ল যাঁরা পড়েছেন, তাঁদের নিশ্চয়ই মনে আছে, বয়স বৃদ্ধি নিয়ে সুকুমার রায় কী বলেছিলেন সেখানে। বয়স কি শুধুই বাড়বে? তা কি হয় নাকি? বয়স বাড়বে। তার পরে এক সময়ে আবার উলটো দিকে চলবে। মানে, কমবে। যাঁরা এ লেখা পড়েছেন, তাঁদের অনেকেই নিশ্চয়ই ভেবেছেন, এমন কেন সত্যি হয় না? প্রায় এমনই একটি ঘটনা ঘটতে চলেছে একটি দেশে। সেই দেশটির নাম দক্ষিণ কোরিয়া। 

কী ঘটতে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়? সেখানে বয়স এক-দুই বছর করে কমে যেতে চলেছে। এবং সেটি গোটা দেশের সব মানুষের। এবং এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। 

কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? কীভাবেই বা বয়স কমতে পারে? এর উত্তর পাওয়ার আগে বুঝতে হবে, দক্ষিণ কোরিয়ায় কীভাবে বয়সের হিসাব করা হয় সেটি।

গোটা বিশ্বে যেভাবে বয়সের হিসাব করা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ায় তা হয় না। এখানে জন্মের সময়ে কারও বয়স ‘০’ বলে ধরা হয় না। এই দেশে গর্ভাবস্থা থেকেই বয়স গোনা শুরু হয়ে যায়। অর্থাৎ জন্মের সময়ে যে কোনও কারও বয়স ধরা হয় ৯-১০ মাস। মা যখন গর্ভধারণ করেন, সেই সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় সন্তানের বয়সের হিসাব।

এবার এই পদ্ধতিতেই বদল আনতে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। তাদের তরফে বলা হয়েছে, সারা পৃথিবীতে যেভাবে বয়স নির্ণয় করা হয়, গণনা হয়— এবার থেকে সেভাবেই দক্ষিণ কোরিয়াতেও বয়স গোনা হবে। হালে এই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার তরফে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির ১০ সদস্যের মধ্যে ৮ জনই সারা বিশ্বে যে পদ্ধতিতে বয়সের হিসাব হয়, তাদের দেশেও সেই পদ্ধতি আরোপের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

এর ফলে কী হতে চলেছে? ২০২৩ সালেই সারা বিশ্বের মতো করে বয়স গণনা শুরু হয়ে যাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে। তার ফলে এক লপ্তে দেশের সব মানুষে বয়স এক থেকে দুই বছরের মতো কমে যাবে। দেশের বেশির নাগরিকরাও এই সিদ্ধান্তের পক্ষে মত জানিয়েছেন। ৮০ শতাংশেরও বেশি নাগরিক বলেছেন, আগামী দিনের জন্য এটি সঠিক সিদ্ধান্ত হতে চলেছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। না হলে বাকি দুনিয়ার সঙ্গে তাল মেলানো মুশকিল হচ্ছিল তাঁদের পক্ষে।