জীবন এক আশ্চর্য মিথ

জটিল প্রণয়

এই মন, অন্তর্যামী না হলে কি বুঝতো তুমিও ভালোবেসেছিলে?
যখন তুমি দূরে থেকেও অনেক কাছে এসেছিলে,
অথচ এই পাষণ্ড আমিই তোমাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নোনাজলের অতল গভীরে
যেখান থেকে তুমি এসেছিলে
ওগো আমার অনিন্দ্য সুন্দর পরাগধানী
আমার কোলবালিশের একরাশ নরম তুলোর আশ্চর্য আরাম
একাই তুমি এখন ফিসফিস করে করে মরতে বসেছ
হে আমার হেতাল ঝোপের ঝিমধরা মুহূর্তের আজিব স্তব্ধতা
আমার বহুত সুন্দর স্লীম স্মার্ট লকলকে লাউডগার অপূর্ব যাদু
একশো হাত লম্বা বিশাল দড়ির আশ্চর্য ফাঁস।

নিহিত ভাবনা

জীবন এক আশ্চর্য মিথ—
এবসার্ডকে ধরতে মহাকালের পাতায় আঁকা সহস্র মুণ্ডু,
পুড়ে পুড়ে খাক হয় হাইড্রোকার্বন।

চাই নতুন ক্রমশ—
নতুন সন্ধানের অলীক এ-জীবন চ্যাপ্টা হয় ঘসেটি বেগমের শিলপাটায়
তথাপি অটল থাকে ফুঁড়ে ওঠা মূলনীতির অদ্রিশিখর।

যদি নাজিল হয় অলৌকিক পয়ার-
ভ্রুক্ষেপ নেই কোনো-
হতে পারে উত্তম, অথবা অধম
দিগন্তজোড়া ভালোবাসার অসীম টঙ্কার অথবা শূন্যতা কখনও।

গহীনে সে ডুবে থাকে

হাত-পা ছেড়ে দেয়া বিড়াল-ঘুম,
জড়তা ভেঙে সহসা সচকিত চেতন
নাড়িয়ে নাড়িয়ে আলসেমি ছড়ায়
অবচেতনের মোহন তন্দ্রার ছাল।

ডোবা বরফের চাই, বিশাল চাই-
এমবুশ করে ডুবে থাকে আটলান্টিকের জলে
জল-সাঁতারে ডুবে থাকে অনিন্দ্য সুন্দর ডুবোচর—
চিরায়ত, শ্বাশত মহান সুন্দর।

সালভাদর দালির সময় ঘড়িতে
গলন্ত সময় চিরকাল গলে গলে পড়ে।

লালিমার প্রভাব

একটি রমনীয় স্তনের লালিমা ছড়িয়ে পড়তেই
হার্পি ঈগলের কামনা উড়ে উড়ে পাড়ি দেয় টাইগ্রিস নদী
বিষ উত্তেজনার তুঙ্গে সওয়ার উচ্ছল জোয়ার।
অদ্রিশিখর ডুবে প্রবল প্লাবনে
টালমাটাল বিপদকালের নাও.
দোয়াত উল্টে লেপ্টে যায়—
প্রিন্সিপিয়া ম্যাথেম্যাটিকার জৌলুশ
বাতিঘর অন্ধকার হয়ে দিশেহারা নবীন নাবিক
মাস্তুল খসে পড়ে আলবিদার চরম ছবি আঁকে।

জলছবি ও বাক্যতত্ত্ব

মধ্যরাতের কোমরে দূষিত মাল জমে জমে
বেদনা কুহক ছড়ায় নিতম্বের আঙ্গিনায়
নিশিবক বাতাসে স্বপ্ন এঁকে এঁকে বিলীন হয় রাত্রির রেটিনায়।

নাগরিক মন মোচড়ানো ব্যথায় গ্রামীণ নিসর্গের পা ধরে কাঁদে
নাজুক পরিস্থিতি—
স্মৃতির আয়নায় বিস্তর ধুলো পড়লেও
চোখের কার্নিশে নির্মোহ দুলতে থাকে প্রাগৈতিহাসিক বাঁশঝাড়ের সবুজ শরীর
বেতঝাড়ের সবুজ বাথান আমারই আঙিনায় এসে চুপিচুপি হাত ইশারায় ডাকে।

অতীত, দূর অতীত অথবা বর্তমান কালের—
শব্দ ও বাক্যবিলাস বৃষ্টির ধারায় ঝরে পড়ে রাত্রির আঙিনায়
বাক্যতত্ত্ব আঁধারের বক্ষ চিরে শিষ দেয় নীলকণ্ঠের বাবরী চুলের আঙ্গিনায়।

বৃষ্টির এস্রাজে অপরূপ সুর—
এলিয়ে পড়া রাত্রির নিভাঁজ শরীরে শরীর ঘঁষে তপ্ত হয়
নেতিয়ে থাকা যন্ত্রের আজিব জৌলুশ।