প্রয়াত রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা, টুইট মোদী-মমতার

রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণার জীবনাবসান। গত অক্টোবর মাসে তিনি ১০২ বছর পেরিয়ে গিয়েছিলেন। কার্যত একটা যুগের পরিসমাপ্তি। রবিবার রাত ১১.২৪ মিনিটে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্য়াগ করেছেন। অসুস্থতার কারণে গত ৫ ডিসেম্বর তাঁকে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়েছিল।

২০০৯ সালে মঠের চতুর্থ অধ্যক্ষা হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছিল তাঁকে। গোটা জীবন মানবসেবায় উৎসর্গ করেছিলেন সন্ন্য়াসিনী। অনেকের কাছে তিনি বড়মা বলেও পরিচিত ছিলেন। মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁর প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করেছেন। মুখ্য়মন্ত্রী শোকবার্তায় জানিয়েছেন, শ্রী সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের চতুর্থ অধ্য়ক্ষা প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণার প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। প্রবীণা মাতাজি সন্ন্য়াসিনী সংঘকে দক্ষতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে সংঘে ও বৃহৎ জনজীবনে গভীর আধ্য়াত্মিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শূন্য়তার সৃষ্টি হল। এই ক্ষতি অপূরণীয়। শ্রী সারদা মঠের তথা রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সন্ন্য়াসিনী ও ভক্তবৃন্দকে আমি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই।

 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সন্ন্যাসিনীর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন। সংঘের সদস্য় ও ভক্তদের প্রতি তিনি সমবেদনা জানিয়েছেন।

 

১৯২০ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। নার্সিংয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। ছোটবেলা থেকেই আধ্য়াত্মিক জগতের প্রতি তাঁর টান ছিল প্রবল। এর সঙ্গে সেবামূলক কাজে নিজেকে জড়িয়ে রাখতেন। তিনি স্বামী বিজ্ঞানানন্দের কাছে মন্ত্রপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। আর স্বামী বিজ্ঞানানন্দ ছিলেন শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের শিষ্য। প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণার নেতৃত্বে নানা জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হত। মাতৃভবন হাসপাতালের উন্নতিতে তিনি আজীবন কাজ করে গিয়েছেন।

তাঁর প্রয়াণে ভক্তদের মধ্য়ে শূন্যতা তৈরি হয়েছে। অনেকেই তাঁর মহান কর্মকাণ্ডের স্মৃতিচারণা করছেন। ভক্তদের মতে, তাঁর জীবনদর্শন সকলের কাছে শিক্ষণীয়। জীবনভর নানা জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি জড়িয়ে ছিলেন। মানবসেবায় উৎসর্গপ্রাণ ছিলেন প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা।