পড়ুয়াদের সুরক্ষায় বড় ঘোষণা, তৈরি হবে কমিটি, স্কুলে সাত নির্দেশিকা পর্ষদের

স্কুলের পড়ুয়াদের সুরক্ষা নিয়ে মাঝেমধ্য়েই উদ্বেগ থাকে অভিভাবকদের মধ্য়ে। এবার সেই উদ্বেগমুক্ত হবেন অভিভাবকরা। এনিয়ে বিশেষ নির্দেশ দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এবার স্টুডেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং কমিটি তৈরির কথা জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে সাত দফা নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। কী থাকছে সেই নির্দেশিকায়? কারা থাকছেন কমিটিতে?

১) বলা হয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক , ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বা চেয়ারম্য়ান এই নিরাপত্তা কমিটিতে থাকবেন। একজন শিক্ষিকাকে রাখতে হবে কমিটিতে। তবে স্কুলে শিক্ষিকা না থাকলে শিক্ষকই থাকবেন। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, অভিভাবকদের তরফে দুজন সদস্য, পুলিশ, প্রশাসন, পরিবার ও সমাজ কল্যাণ দফতরের প্রতিনিধিকে রাখতে হবে কমিটিতে।

২) স্কুলে মশাবাহিত রোগ যাতে না ছড়ায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ৩) স্কুল চত্বরে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করতে হবে ,৪) পানীয় জলের সুব্যবস্থা করতে হবে।৫)শৌচাগারের আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে কি না সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ৬)স্কুলের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সুরক্ষা ঠিকঠাক রয়েছে কি না সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিতে সর্টসার্কিটের কারণে যাতে সমস্যা না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য প্রতি ৬ মাস অন্তর একবার গোটা ব্যবস্থাটি যাচাই করে দেখতে হবে। ফ্যান যাতে কোনওভাবেই মাথায় না ভেঙে পড়ে সেটাও নিশ্চিত করার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৭) পথ নিরাপত্তার দিকটিও সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে নয়া নির্দেশিকায়। ছাত্রছাত্রীরা যাতে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ সম্পর্কে সচেতন হতে পারে তার ব্য়বস্থা করতে হবে। সেকারণে স্কুলে এনিয়ে আলোচনাসভা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

শিক্ষকদের একাংশের মতে, পানীয় জলের পরীক্ষা থেকে পথনিরাপত্তা সব দিক থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করার পরামর্শ রয়েছে এই নির্দেশিকা। এই নির্দেশিকা যথাযথভাবে পালিত হলে সব দিক থেকে সুরক্ষিত থাকবে ছাত্রছাত্রীরা।