Diabetes in kids: ছোটদেরও হতে পারে ডায়াবিটিস! সন্তানকে সুস্থ রাখতে কী কী খাওয়াবেন

শুধু বড়দের নয়, ছোটদেরও ডায়াবিটিস হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি তিন চার বছর থেকেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে খুদের শরীরে। চিকিৎসকদের কথায়, অল্পবয়সিদের টাইপ ১ ডায়াবিটিস দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বেশি। এই ধরনের ডায়াবিটিসে ইনসুলিনের উৎপাদন কমে যায়। এছাড়াও হাইপারগ্লাসিমিয়ার সমস্যাও দেখা দেয়। মূলত জিনের জটিলতা থেকেই এমন রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। এছাড়াও ফাস্টফুড, অস্বাস্থ্যকর তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার কারণেও ডায়াবিটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়াদাওয়ায় কিছু পরিবর্তন আনলে এই সমস্যা সহজে দমিয়ে রাখা যায়। স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা অতিরিক্ত কোলেস্টেরল রয়েছে এমন খাবার এই সময় এড়িয়ে চলা উচিত।

১. জটিল কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার: ডায়াবিটিস হলে অনেকে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার এড়িয়ে যান। তবে, শিশু ও কিশোরদের ডায়াবিটিস হলে তেমনটা না করা ভালো। এতে তাদের বৃদ্ধি কমে যেতে পারে। চিকিৎসকের কথায়, এই সময় ডায়েটে জোয়ার, বাজরা ও হোল ময়দার খাবার রাখা যেতে পারে। এই ধরনের খাবারে জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে। এগুলি হজম করতে বেশি সময় লাগে।

২. ভালো মানের প্রোটিন: এই সময় খুদের প্রতিদিনের ডায়েটে উন্নত মানের প্রোটিন থাকা উচিত। নিয়মিত সিদ্ধ ডিম বা ডিমের বিভিন্ন পদ এই সময় শিশুর ডায়েটে রাখা যেতে পারে। এছাড়াও মাছ ও মাংস নিয়মিত খেলে শরীরের ভাল মানের প্রোটিনের জোগান থাকে। মাছ, মাংস ডিমের মুখরোচক পদ থাকলে একরত্তি অন্যদিকে তাকাবেই না।

৩. ভালো ফ্যাটযুক্ত খাবার: খাবারে তেল থাকতেই পারে। তবে স্বাস্থ্যকর তেল দিয়ে রান্না করা খাবারই খাওয়া উচিত। ভালো কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ তেল দিয়ে রান্না করলে হৃদরোগের আশঙ্কাও অনেকটা কমে যায়। ডায়াবিটিস থাকলে শিশুদের হৃদরোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

৪. ফাইবার: খাবারে ফাইবার থাকলে তা ডায়াবিটিক শিশুর জন্য যথেষ্ট উপকারী। ডায়াবিটিস ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এতে রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে রোগের বাড়বাড়ন্ত এড়ানো যায়।

৫. মিষ্টিকারক পদার্থ: ছোট্ট বয়সেই চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। এমনটা শুনলে খুদের মন খারাপ করবেই। তাই ওর মন ভালো রাখতে মিষ্টিকারক পদার্থ দিয়ে তৈরি মিষ্টি ও বিভিন্ন খাবার ওকে খাওয়ান। এতে ডায়াবিটিসও বাড়বে না। ছোট্ট সোনার মনও ভালো থাকবে।