L‌alan Sekh Death: লালন শেখের মৃত্যুতে গাফিলতি ছিল!‌ অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে মানছে সিবিআই

গলায় ফাঁস দিয়েই মৃত্যু লালন শেখের। বগটুই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ রয়েছে বলে খবর। এমনকী ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, দেহে কয়েকটি ছড়ে যাওয়া আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে লালনের দেহ শৌচাগারে যে শাওয়ার পাইপ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়. তার মাপ জোক করেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। আজ, বৃহস্পতিবার আবার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখবেন ঘটনাস্থল। লালনের দেহের সম ওজন ব্যবহার করে লোড টেস্ট করা হবে।

কী তথ্য উঠে আসছে অভ্যন্তরীন রিপোর্টে?‌ তদন্তকারী অফিসার ও নিরাপত্তারক্ষীদের ঢিলেঢালা মনোভাবের জেরেই এত বড় ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে বলে সিবিআইয়ের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে উঠে আসছে। নয়াদিল্লি থেকে আসা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার শীর্ষকর্তার সঙ্গে বৈঠকে এই তথ্য এখানকার আধিকারিকরা তুলে ধরেছেন বলে সূত্রের খবর। তদন্তকারী অফিসার অভিযুক্তকে একা ছেড়ে দিয়ে কেন বাইরে বেরিয়ে গেলেন?‌ তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সিবিআইয়ের অন্দরের বৈঠকে। আর বগটুই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু ঘিরে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে পরিবার। খুন করা হয়েছে পরিকল্পনা করে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সিবিআই হেফাজতে লালনের রহস্যমৃত্যুর জেরে চাপে পড়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। নয়াদিল্লির কর্তাদের এখানকার আধিকারিকরা প্রথমে জানিয়েছিলেন, অস্থায়ী ক্যাম্পে সিসিটিভি ছিল। কিন্তু তাঁরা এখানে আসার পর পুরো ঘটনার খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে জানতে পারেন, সেখানে কোনও ক্যামেরা ছিল না। এতে রীতিমতো অসন্তুষ্ট তাঁরা। অস্থায়ী ক্যাম্পে যেখানে অভিযুক্তকে রাখা হচ্ছে, সেখানে ক্যামেরার ব্যবস্থা কেন করা হয়নি?‌ তারও তদন্ত শুরু হয়েছে। এই বিষয়টি যাঁর দেখার দায়িত্ব ছিল, তাঁর ভূমিকাও যাচাই করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে লালনের স্ত্রী বলেন, ‘‌আমার স্বামীকে ওরা শেষ করে দিয়েছে। জিভ কেটে দিয়েছে। পায়ে এত জোর জোর মেরেছে, রক্ত জমাট বাঁধা ছিল। পা মাটিতে লাগানো ছিল। জিভ কেটে দিয়েছে।’‌ এই ইস্যুতে চাপ বাড়ছে।

সিবিআই হেফাজতের নিয়ম কী?‌ সিবিআইয়ের নিজস্ব অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, লালন বাথরুমে যাওয়ার সময় সেখানে ছিলেন না নিরাপত্তারক্ষীরা। বাথরুমের দরজাও বন্ধ ছিল। আর নিয়ম হচ্ছে, অভিযুক্ত বাথরুমে গেলে তার সঙ্গে যাবে নিরাপত্তাকর্মীরা এবং দরজা খোলা রাখতে হবে। তদন্তকারী অফিসার এই দু’জনের উপর ছেড়ে দিয়ে যেভাবে বাইরে চলে গিয়েছিলেন সেটি নিয়ম নয়। কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ওই অফিসার বাইরে গিয়েছিলেন, তা নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন শীর্ষকর্তারা। উত্তর সন্তোষজনক না হলে, তাঁকে শোকজ পর্যন্ত করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।