Life Hacks: কর্মক্ষেত্রে ভীষণ চাপ? কমিয়ে নিন ৫টি সহজ উপায়ে

দিন দিন কর্মক্ষেত্রে বাড়ছে কাজের চাহিদা। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কাজের চাপ। রোজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই অতিরিক্ত পরিমাণ কাজের বোঝা চাপছে ঘাড়ে। এই নিয়ে কোনও কথা বলার জো নেই। বাজারে কাজের চাহিদা এমনই, ঠিকভাবে কাজ করতে পারলে তবেই টিকে থাকা সম্ভব। পাশাপাশি যে কর্মচারী বেশি চাপ সামলাতে পারে, তাকেই বস ভালো চোখে দেখেন। অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে প্রায়ই কর্মচারীদের নানারকম মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। অনেকে এই পরিস্থিতি সহজে সামলে উঠতে পারেন না‌। বরং তাড়াহুড়োয় করতে গিয়ে কাজে ভুল হলেই বসের বকুনি খেতে হয়।

ইদানীং-এর মেডিটেশন বিশেষজ্ঞ রমন মিত্তাল জানাচ্ছেন, কাজের চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে সেই উপায়গুলি মেনে চললে চাপ অনেকটাই কমে যায়।

১. মন্ত্র ধ্যান: যথেষ্ট চাপের পরিস্থিতি থেকেও এই পদ্ধতিতে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আপনাকে উদ্বুদ্ধ করে এমন কয়েকটি লাইনের কথা মনে করুন। এবারে মনে মনে সেই লাইনগুলো কিছুক্ষণ আউড়ে নিন। এটিই আপনাকে চাপ সামলানোর আত্মবিশ্বাস জোগাবে।

২. ব্রিদিং মেডিটেশন: অনেকেই প্রেজেন্টেশন বা মিটিং-এর আগে মনে মনে বেশ চাপ অনুভব করেন। এই সময় পাঁচ মিনিট ডিপ ব্রিদিং করলেই এমন অবস্থা থেকে রেহাই মিলবে। ডিপ ব্রিদিং যেমন স্নায়ুকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, তেমনই কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও যেকোনওরকম চাপ কমাতে সাহায্য করে এই ধ্যান।

৩. হাঁটার মাধ্যমে ধ্যান: কঠিন পরিস্থিতি হলেও পালিয়ে যাওয়ার কোনও পথ নেই। বরং মুখোমুখি লড়ে আপনার সক্ষমতা বুঝিয়ে দেওয়াটা জরুরি। হাঁটার মাধ্যমে শরীর ও মনের স্ট্রেস অনেকটাই কমে যায়। এতে যেকোনও বিষয়ে গভীরভাবে ভাবার সুযোগ মেলে।

৪. বডি স্ক্যান: অনেকসময় খুব কাজের চাপ না থাকলেও কাজ সহজে উতরোয় না। দেখা যায়, অহেতুক দুশ্চিন্তা বা চাপ অনুভব করাই এর কারণ। এই সময় বডি স্ক্যান মাধ্যমে ধ্যানের পদ্ধতি বেশ কার্যকরী। এই পদ্ধতিতে শান্তভাবে বসে একমনে শরীরের কোনও অস্বস্তি অনুভব করছেন কিনা সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। পায়ের পাতা থেকে মাথা পর্যন্ত প্রতিটি অঙ্গকে অনুভবের মাধ্যমে বুঝে নিন। এর ফলে মনের অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা কমে যায়।

৫. ভিস্যুয়াল মেডিটেশন: পরিস্থিতি থেকে পালানো সম্ভব নয়। কিন্তু কিছুক্ষণের জন্য কল্পনায় নিজের পছন্দের জায়গাটিতে পৌঁছে যাওয়াই যায়। পাঁচ মিনিট এই পদ্ধিত অনুসরণ করলে শরীর ও মনের স্ট্রেস চাপ অনেকটাই কমে যায়।