Encephalitis: শেষ তিন মাসে রাজ্যে বেড়েছে এনসেফ্যালাইটিস: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট

শীত পড়তেই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত অনেকটাই কমেছে। তবে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক মশাবাহিত রোগ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে পশ্চিমবাংলায় এনসেফ্যালাইটিস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, শেষ তিন মাসে রাজ্যে এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৭ গুণ। আক্রান্তের নিরিখে গোটা ভারতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ। এর ফলে স্বাভাবিকভাবে উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নভেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যে এনসেফ্যালাইটিসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১,৩২৬ জন। ওই সময় পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। সাধারণত প্রতি তিন মাস পর পর এই রিপোর্ট প্রকাশ করে থাকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এর আগে শেষবার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল ৩১ অগাস্ট। সেই সময় রাজ্যে মোট এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৯৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল দুজনের। অন্যদিকে, ম্যালেরিয়া নিয়েও উদ্বেগজনক ছবি ধরা পড়েছে রিপোর্টে। কেন্দ্রের এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলায় মোট ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৭৩৯ জন। এই রোগে আক্রান্তের নিরিখে ভারতে শীর্ষে রয়েছে বাংলা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ছত্রিশগড়। এখানে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ১৩০ জন এবং ওড়িশায় ২০ হাজার ৭১৩ জন।

প্রসঙ্গত, ডেঙ্গির বাহক হল এডিস মশা এবং ম্যালেরিয়ার বাহক অ্যানোফিলিস মশা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মশাদের চারিত্রিক পরিবর্তন হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আগে অ্যানোফিলিস মশা শুধুমাত্র নোংরা জ্বলে বংশবিস্তার করত। তবে এখন পরিষ্কার জলেও এই মশা বংশবিস্তার করছে। শীত এলেও মশাবাহিত রোগ যতটা কমার আশা করা করেছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ততটা কমেনি। এনিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর।