Rabita Murder Case in Jharkhand: আফতাবকাণ্ডের ছায়া পড়শি রাজ্যে, দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুন করে ১৩-র বেশি টুকরো আনসারির

পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে এবার আফতাবকাণ্ডের ছায়া। নিজের দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুন করে ১৩-র বেশি টুকরো করে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ২৮ বছর বয়সি দিলদার আনসারির বিরুদ্ধে। এদিকে মৃত যুবতী আদিবাসী বলে জানা গিয়েছে। তাঁর নাম রবিতা পাহাড়িন। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জের বোরিও ব্লকের আঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের পিছনে মানব দেহের টুকরো খেতে দেখা যায় কুকুরকে। এই ঘটনা দেখেই স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। এরপরই জানা যায়, এই ঘটনায় উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ রবিতা। এখনও পর্যন্ত দেহের ১৩টি টুকরো উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ। আরও বহু টুকরো রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। তবে অনেক দেহাংশ আর মিলবে না বলে আশঙ্কা তদন্তকারীদের।

বোরিও থানার অফিসার ইনচার্জ জগন্নাথ পান পিটিআইকে বলেন, ‘জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১৩টি লাশের অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিদর্শনে দেখা গিয়েছে যে অংশগুলি ডোন্ডা পাহাড়ের বাসিন্দা ২২ বছর বয়সি যুবতীর। স্থানীয়রা এই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েছেন।’ মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তা (সাহেবগঞ্জ) রাজেন্দ্র কুমার দুবে জানান, জেলার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে নিহতের শরীরের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অংশ পাওয়া গিয়েছে।

রাজেন্দ্র কুমার দুবে জানান, প্রাথমিক তদন্তের পর আনসারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, দিলদারের মা মরিয়ম খাতুন শুক্রবার রবিতাকে বোরিও মাঞ্জ টোলায় তার ভাই মইনুল আনসারির বাড়িতে নিয়ে যান। যেখানে রবিতাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপর লোহা কাটার মেশিন দিয়ে লাশ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়। তল্লাশি চালিয়ে শনিবার পুলিশ একটি আঙুল, কাঁধ, একটি নিতম্ব, একটি হাত, পিঠের নীচের অংশ, একটি ফুসফুস এবং পেটের কিছু অংশ উদ্ধার করেছে।