Kolkata street music festival: বড়দিনের আগের রাতে কলকাতার রাস্তা ভাসবে গানে! পথেই হবে কনসার্ট, থাকবেন কারা

চোখ মেলতেই পাখির কিচিরমিচির শব্দ, নদীর কুলুকুলু ধ্বনি, মন্দিরের পবিত্র স্তব বা মসজিদের পবিত্র আজান, সবদিকেই ছড়িয়ে আছে গান। মানবজাতির আদিম ভাষা এটি। ভোরবেলার ভক্তিমূলক গান হোক বা শ্রীচৈতন্যের ধারা মেনে নগরসংকীর্তন, গানের মিছিল বারবার নেমেছে পথে। পথের সঙ্গে তার যে নিবিড় সম্পর্ক সে কথা বারবার প্রমাণিত হয়েছে বিভিন্ন ঐতিহ্যে, সংস্কৃতির বিভিন্ন ধারায়। পথের সঙ্গে গানের এই শতাব্দীপ্রাচীন যোগাযোগকেই উদযাপন করছে কলকাতা স্ট্রিট মিউজিক ফেস্টিভ্যাল। গত দুই বছর কোভিডের রক্তচক্ষুর মধ্যেই বিধি মেনে আয়োজিত হয়েছিল এই উৎসব। এই বছর তিনে পা রাখতে চলেছে পথের গানের বিশেষ মরশুমি উৎসব।

অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক সুদীপ্ত চন্দ ও লন্ডন নিবাসী সঙ্গীতশিল্পী সোমা দাস। ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় মিউজিক অ্যাকাডেমি, সোমা দাস, ড্যাফোডিল ইনকর্পোরেটের সহযোগিতায় সুদীপ্ত চন্দের এই অনন্যসাধারণ উদ্যোগের সাক্ষী হতে চলেছে কলকাতা। তৃতীয় বছরের উৎসবটি ২৪ ডিসেম্বর কলকাতার স্পাইসেস এন্ড সসেস-এ (ICCR আউটলেট) আয়োজিত হবে। গ্রাম হোক বা শহর পথে পথে গান করেই যাদের দিন কেটে যায়, তাঁরাই এই অনুষ্ঠানের অংশ। শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স কলকাতা স্ট্রিট মিউজিক ফেস্টিভ্যাল এবারের মরশুমের নিবেদক।

এদিনের অনুষ্ঠানে বন্ধুদের নিয়ে উপস্থিত থাকবেন পার্ক স্ট্রিটের বাঁশি বিক্রেতা মহম্মদ ইব্রান। শ্রোতাদের গান শোনাবেন বেহালা ও গিটার বাজিয়ে পথে পথে গান গাওয়া শহরের দুই তরুণ সৌরজ্যোতি ও কৃষ্ণেন্দু। তাঁদের দল ‘থার্ড স্টেজ’। এছাড়াও জাতীয় পুরস্কারজয়ী পটচিত্র শিল্পী কল্পনা চিত্রকর ও নূরউদ্দিন চিত্রকর পটে আঁকা দেবী দুর্গার গান শোনাবেন। সুবল দাস বৈরাগ্য এবং তাঁর বহুরূপীর দল আসবেন দুর্গার পরিবার নিয়ে। ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় মিউজিক অ্যাকাডেমির ছাত্রীরা পঞ্চ কবির গান পরিবেশন করবেন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরিত্র সানি মুখার্জি, সুরিন্দম মুখার্জি যথাক্রমে লতা মঙ্গেশকর, বাপ্পি লাহিড়ী, কেকে-এর স্মৃতিতে গানে বিশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সেতারে রাগ পরিবেশন করবেন শৌভিক মুখোপাধ্যায়। ঋত্বিক মাইতি শোনাবেন পাশ্চাত্যের কিছু গান। পাশাপাশি থাকবেন আরও অনেক শিল্পী।

অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা সুদীপ্ত চন্দ এদিন জানান, ‘রাস্তায় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে যাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন, এটি সেইসব সঙ্গীতশিল্পীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। পাশাপাশি অবশ্যই একটি ভিন্ন ধরনের সঙ্গীতের উৎসব। সঙ্গীতের মাধ্যমে জীবনের উদযাপন হিসাবেও একে ভাবা যেতে পারে।’