100 Days Job: একশো দিনের টাকা ছাড়তে দরবার সুকান্ত–শুভেন্দুর, কেন হঠাৎ এমন উদ্যোগ?

বঙ্গ–বিজেপির নেতারা নয়াদিল্লি গিয়েছিলেন। সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপ সেখানে নিয়ে সংগঠন থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে আলোচনা করেছেন। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশও ঠুকেছেন তাঁরা। এখন একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বরাদ্দ টাকা বাংলাকে দেওয়া এক বছর বন্ধ রেখেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। অথচ বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। যেখানে এটাই মূল ইস্যু করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রচার মানুষের কাছে পৌঁছলে গ্রামীণ ভোটেও খালি হাতে ফিরতে হবে। এই আশঙ্কা করে একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার জন্য কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের কাছে দরবার করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ সম্প্রতি ঠিক হয়েছিল বিধানসভার প্রতিনিধিদল কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের কাছে গিয়ে নদী ভাঙন এবং একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে দরবার করবেন। সেটা জানানো হয়েছিল বিরোধী দলনেতাকেও। কিন্তু তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সবাপতিকে নিয়ে পৌঁছে গেলেন দরবার করতে। অথচ কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন, দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের ব্যাখ্যা দেয়নি পশ্চিমবঙ্গ। তাই একশো দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। আর রাজ্য বিজেপি মনে করছে এই টাকা আটকে রাখলে কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণ বলে প্রচার করবে তৃণমূল কংগ্রেস। তার প্রভাব পড়বে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। বরং এই টাকা ছেড়ে দিয়ে পাল্টা চাপ দেওয়া যাবে রাজ্য সরকারকে।

কেন এমন দরবার করলেন তাঁরা?‌ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর একান্ত প্রচেষ্টায় আবাস যোজনার টাকা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা বের করে এনেছেন তিনি। এবার দুয়ারে সরকার প্রকল্পকে পুরষ্কৃত করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সুতরাং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার দরবার করেছেন। মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন টাকা না দেওয়ার ঘটনা। আর তাতেই চাপে পড়ে সুকান্ত–শুভেন্দু পরিকল্পনা করেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে দরবার করলেন। যাতে তাঁরাও চেষ্টা করেছেন বলতে পারেন।

ঠিক কী বলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?‌ একশো দিনের কাজের টাকা তাঁরা ছাড়ার জন্য সওয়াল করেছেন বলে তাঁদের দাবি। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘দ্রুত ওই টাকা ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে আবাস যোজনাতেও পুকুর চুরি হয়েছে। যাঁরা পাকা বাড়ির মালিক, তাঁরাও আবাস যোজনার উপভোক্তাদের তালিকায় ঢুকে পড়েছেন। ওই দুর্নীতিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’