TET-এ শাঁখা – পলা খুলতে বাধ্য করা হল কোন আইনে? প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে হল মামলা

প্রাথমিক টেটে হিন্দু বিবাহিত মহিলা পরীক্ষার্থীদের শাঁখা – পলা খুলতে বাধ্য করার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা। মামলাটি গায়ের করেছেন আইনজীবী পারমিতা দে। তাঁর দাবি, জোর করে শাঁখা – পলা খোলানো হিন্দু নারীর মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এই নির্দেশ জারি করায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি গৌতম পালের বিরুদ্ধে FIR করেছেন তিনি।

পারমিতাদেবী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক টেট পরীক্ষার দিন পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে হিন্দু রমণীদের শাঁখা – পলা খুলতে বাধ্য করেছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। কোন আইনে তারা এই নির্দেশিকা জারি করেছে তা আদালতে তাদের জানাতে হবে। সংসদের এই নির্দেশিকার কারণে বহু হিন্দু বিবাহিত নারী পরীক্ষা দিতে পারেননি। জলপাইগুড়ির বাসিন্দা মৌমিতা চক্রবর্তীসহ বহু নারী এতে বঞ্চিত হয়েছে। তাদের জন্য আদালতে বিচার চাইব। এই মর্মে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছেন তিনি। চলতি সপ্তাহেই মামলাটির প্রথম শুনানি হতে পারে।

একই সঙ্গে তিনি জানান, এই নির্দেশিকা জারি করায় সংসদ সভাপতি গৌতম পালের বিরুদ্ধে বিধাননগর পূর্ব থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

আইনজ্ঞদের একাংশ বলছেন, হিন্দু রমণীর শাঁখা – পলা আইনের চোখে বিবাহিত জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। কোনও মহিলা শাঁখা – পলা ও সিঁদুর না পরলে আদালত অনেক ক্ষেত্রে তা স্বামীর জন্য বিবাহবিচ্ছেদ পাওয়ার বৈধ কারণ হিসাবে বিবেচনা করে।

গত ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক টেটের দিন পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে বিপাকে পড়েন বহু হিন্দু বিবাহিত মহিলা পরীক্ষার্থী। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার জন্য তাদের শাঁখা – পলা খুলতে বাধ্য করা হয়। খুলতে বলা হয় হাতের লোহাও। যাঁদের শাঁখা – পলা খোলার অভ্যাস নেই তাঁরা বিপাকে পড়েন। অনেক চেষ্টা চরিত্র করে শাঁখা পলা খুলে গাছে ঝুলিয়ে রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকেন তাঁরা। পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি জলপাইগুড়ি মৌমিতা চক্রবর্তীসহ বহু পরীক্ষার্থী। তাদের পরীক্ষা না দিয়েই ফিরতে হয়। যার জেরে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়। অবশেষে বিষয়টি গড়াল আদালতে।