Suvendu Adhikari: রাজ্যের দাবি নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে কেন্দ্রের দরবারের যেতে নারাজ শুভেন্দু

নদীভাঙন নিয়ে রাজ্যের অভিযোগ জানাতে কেন্দ্রের কাছে বিধায়কদের প্রতিনিধি দল যাবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। সেই প্রতিনিধি দলে যোগ দেওয়ার জন্য বিজেপিকে আহ্বান জানানো হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে বিজেপির একাংশ এই প্রতিনিধি দলে যোগ দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করলেও বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক সাফ কথায় জানিয়ে দিলেন, তৃণমূলের সঙ্গে কোনও প্রতিনিধি দলে থাকবেন না বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দুর কথায়, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের দাবি নিয়ে আমরা তৃণমূলের সঙ্গে কোনও প্রতিনিধিদলে যোগ দেব না।’

উল্লেখ্য, এর আগে গঙ্গাভাঙন নিয়ে কেন্দ্রের কাছে যৌথ প্রতিনিধি দল পাঠানোর প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখার কথা বলেছিলেন মনোজ টিগ্গা। ১২ সদস্যের দলে ৭ জন তৃণমূলের এবং ৫ জন বিজেপির হওয়ার কথা ছিল। তবে শুভেন্দু পরে জানান, একসঙ্গে দিল্লি যাওয়ার প্রশ্নই নেই। শুভেন্দুর অভিযোগ, এই বিষয়টি নিয়ে তাঁর এবং পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কথোপকথন মিডিয়াতে ফাঁস হয়ে যায়। এই আবহে ফের একবার প্রতিনিধি দলে যোগ না দেওয়ার বিষয়টি সাফ করে দিলেন বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর বিষয়টি নিয়ে ফোনে কথা হয়েছিল পরিষদীয় মন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার। এই বিষয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘এ বিষয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। আমি তাঁকে সরকারি প্রস্তাব পাঠাতে বলেছিলাম। কিন্তু আমার সঙ্গে কথা বলার পরেই দেখি বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে যায়। আমরা সরকারের হাতে ব্যবহৃত হতে আসিনি। আমার আর পরিষদীয় মন্ত্রীর কথা কীভাবে প্রকাশ্যে আসে? তাছাড়া, এই সরকারের হাতে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে মগরাহাট পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থী মানস সাহা সহ ৫৩ জন কর্মী খুন হয়েছেন। তাই এমন দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যাব না।’

এদিকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে পালটা তোপ দেগেছেন পরিষদীয় দলনেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘আমার ও বিরোধী দলনেতার মধ্যে যে আলোচনা হয়েছিল তা রাজ্যের মানুষের স্বার্থেই হয়েছিল। রাজ্যের মানুষের স্বার্থে আলোচনা হয়েছিল বলেই আমি তা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলাম। আসলে রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব আগ্রহী নয়। তাই বিরোধী দলনেতা অজুহাত দেখিয়ে আমাদের সঙ্গে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের দাবি জানাতে অস্বীকার করেছেন। এর আগে বামফ্রন্ট যখন সরকারে ছিল, তখন বিরোধী বিধায়ক হিসাবে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বহু বার একসঙ্গে রাজ্যের দাবি জানাতে গিয়েছি। কখনও এই ধরনের রাজনীতি করিনি।’