Antarctica species at risk: বিলুপ্ত হতে পারে আন্টার্কটিকার ৬৫ শতাংশ প্রজাতি! সবথেকে বিপদে পেঙ্গুইন: রিপোর্ট

দূষণের কারণে দিনদিন বেড়েই চলেছে পৃথিবীর উষ্ণতা। একইসঙ্গে গলে যাচ্ছে উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর বরফের স্তর। সমুদ্রের জলতলের উচ্চতা বাড়লে বিপদ মানুষের পাশাপাশি অসংখ্য জীবজন্তুরও। তাবৎ বিশ্বকেই এর ফল ভোগ করতে হবে। সম্প্রতি এক গবেষণাপত্রের ফলাফলে ফুটে উঠল এই সতর্কবার্তাই। পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে গেলে কোন কোন প্রজাতির প্রাণীর হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি তা খুঁজে বার করাই ছিল গবেষণার বিষয়বস্তু। সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীদের ভবিষৎ নিয়ে গবেষণার পথে এগিয়ে ছিলেন বিজ্ঞানীরা। তবে দীর্ঘ গবেষণার শেষে যে ফলাফল পাওয়া যায়, তা রীতিমত প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে সারা বিশ্বকে।

দেখা যায়, দূষণের মাত্রা না কমলে শতাব্দীর শেষে আন্টার্কটিকার ৬৫ শতাংশ প্রাণীই হারিয়ে যাবে পৃথিবী থেকে। দক্ষিণ গোলার্ধের আন্টার্কটিকা মহাদেশের প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপদে রয়েছে পেঙ্গুইন, সীবার্ড ও শুকনো মাটির নেমাটোড প্রজাতির প্রাণী। পিএলওএস বায়োলজি পত্রিকায় প্রকাশিত এই গবেষণার মতে, সবচেয়ে বেশি বিপদে রয়েছে আন্টার্কটিকা মহাদেশের পেঙ্গুইন। সারা বিশ্বের ১২টি দেশের ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত ছিল এই গবেষণায়। গবেষকদের কথায়, যে হারে বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন কারখানা থেকে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়ে দূষণ ছড়াচ্ছে, তাতে প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পেঙ্গুইনের প্রজাতি। মোট ১৮ রকমের পেঙ্গুইন প্রজাতি রয়েছে প্রবল শীতের মহাদেশে। তাদের মধ্যে আকারে সবচেয়ে বড় হল এম্পেরর পেঙ্গুইন। এদের উপরেই মূলত সংকটের খাঁড়া ঝুলছে। এখনের মতো সমান হারে দূষণ চলতে থাকলে প্রায় ৮০ শতাংশ এমপেরর পেঙ্গুইন হারিয়ে যেতে পারে পৃথিবী থেকে। এছাড়াও এদের সংখ্যা কমে যাবে প্রায় ৯০ শতাংশ।

প্রধান গবেষক ডক্টর জেসমিন লি গার্জিয়ান পত্রিকাকে জানান, সম্প্রতি পরিবেশ বাঁচাতে ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যে ব্যবস্থা নিচ্ছে সেগুলি মোটেই যথেষ্ট নয়। আন্টার্কটিকা একটি বিচ্ছিন্ন মহাদেশ হলেও এর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি । এই মহাদেশের বিরল প্রজাতিদের বাঁচাতে হলে শুধু দূষণ কমালেই চলবে না। বরং ৮৪ শতাংশ প্রজাতিকে সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করতে বিশেষভাবে ২৩ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ জরুরি।

সহগবেষক অ্যালেক্স টেরাউডস বলেন, আন্টার্কটিকার জীববৈচিত্র্য রীতিমতো সংকটের মুখে রয়েছে। আন্টার্কটিক চুক্তির মাধ্যমে এই মহাদেশের জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করার চেষ্টা থাকলেও তা বর্তমান পরিস্থিতিতে যথেষ্ট নয়।