Viswa Bharati: উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন, সাসপেন্ড ৬ পড়ুয়া, কী লেখা চিঠিতে?

বিশ্বভারতীতে বিক্ষোভের জের। এবার ছয় ছাত্রকে সাসপেন্ড করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আগামী ১ বছরের জন্য তাদেরকে সাসপেন্ডের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন ধরেই ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল বিশ্বভারতী। বার বার উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ আন্দোলন। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এলাকায়। আর তার জেরে এবার কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হল বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের। ঠিক কী লেখা হয়েছে ওই চিঠিতে?

সূত্রের খবর বরখাস্ত করা প্রতি ছাত্রকে আলাদা করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, বিশ্বভারতীয় কর্মসমিতির মিটিংয়ে গত ১৪ ডিসেম্বরে সিদ্ধান্ত অনুসারে সংশ্লিষ্ট ছাত্রকে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে। ভাইস চ্যান্সেলরকে তাঁর অফিসে অবৈধভাবে ঘেরাও করে রাখা , প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে তাঁকে ঘেরাও করে রাখা, শারীরিক, মানসিক ও মৌখিকভাবে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছিল। বিশ্বভারতীর সম্পত্তিকে নষ্ট করা, সিসিটিভি নষ্ট করা হয়েছে। গত ২৩-২৪ নভেম্বর এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

এমনকী উপাচার্যের বাসভবন পূর্বিতা থেকে দীর্ঘ ২০ দিন ধরে বের হতে দেওয়া হয়নি। সেখানে হিংসাত্মক আচরণে অংশ নিয়েছিলেন।

এর সঙ্গেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, চিঠি পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে প্রস্তাবিত সাসপেনশনের বিরুদ্ধে আপনি আপনার মতামত দিতে পারেন। এটা করতে ব্যর্থ হলে ধরে নেওয়া হবে যে এনিয়ে আপনার বলার কিছু নেই।

এদিকে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দাবি, বিশ্বভারতীয় উপাচার্য স্বৈরাচারি মনোভাব দেখাচ্ছেন। ফের তাঁর সেই মনোভাব প্রকাশ্যে এল। ফের সাসপেন্ড করার উদ্যোগ নিলেন উপাচার্য। প্রসঙ্গত সম্প্রতি বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে তাঁর সেন্ট্রাল অফিসে ঘেরাও করে রাখা হয়। এরপর টানা বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে বিক্ষোভ। এরপর রাত ২ টো নাগাদ উপাচার্য ঘেরাও মুক্ত হন।

এদিকে গত কয়েক মাস ধরে বার বার ছাত্র বিক্ষোভের আঁচ সহ্য় করতে হয়েছে বিশ্বভারতীকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আন্দোলনকারীদের নিশানায় বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্য়ুৎ চক্রবর্তী। এর জেরে বার উত্তেজনা ছড়িয়েছে কবিগুরুর স্মৃতিধন্য় বিশ্ববিদ্য়ালয়ে। এমনকী বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাসভবনের সামনেও টানা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা।

এরপর আন্দোলনের আঁচ কমাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।এরপরই তারপর্যপূর্ণ রায় দিয়েছিল আদালত। হাইকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটারের মধ্যে ধর্না আন্দোলন চলবে না।