Christmas cake market: কোভিড পরিস্থিতিতে কেমন আছে কেকের বাজার? বড়দিন কি হাসি ফোটালো বিক্রেতাদের মুখে

ডিসেম্বর মাস পড়লেই শুরু হয়ে যায় বড়দিনের প্রস্তুতি। বিভিন্ন বেকারিগুলি অবশ্য একমাস আগে থেকেই বাজারের জন্য কেক তৈরি করতে শুরু দেয়। তবে ২০২২ শেষের কেকের বাজার কেমন?

কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই বছর বেশ ভালোই বেড়েছে কেকের দাম। এই নিয়ে এইচটি বাংলাকে ক্রেতারা নানারকম প্রতিক্রিয়া জানালেন। অফিস টাইমে দত্তপুকুর লোকালের নিত্যযাত্রী অঞ্জন বিশ্বাস। তাঁকে কেক নিয়ে প্রশ্ন করতেই জানালেন, সারা বছর এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করে থাকি। তাই দাম বাড়লেও কিনব। আরেক মধ্যবয়সি ক্রেতা বারুইপুরের বাসিন্দা বিকাশ ঘোষ। তিনি বললেন, দাম বাড়লেও বাড়ির ছোটদের জন্য কেক না কিনে উপায় নেই। তারা সারাবছর এই দিনটি আনন্দ করবে বলে মুখিয়ে থাকে। তবে ভিন্ন সুর শোনা গেল, অনিল গোস্বামীর কথায়। দামের জন্য এবার বাড়িতেই কেক বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনিল। তাঁর কথায়, বাজারে এখন সব জিনিসের দামই আগুন। অনেক জায়গায় কেকে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। তাই এই বছর বাড়িতে বানানো কেক দিয়েই বড়দিন পালন হবে। একইরকম সুর শোনা গেল বনগাঁ লোকালের তমাল সাহা ও অভিজিৎ পাড়ুইয়ের কথায়। তাঁদের কথায়, বাইরের বাজারে কেকের দাম বেশ চড়া। ফলে এই বছর কেনাকাটা বাদ রাখতে হচ্ছে।

শিয়ালদা চত্বরের আশেপাশের দোকানগুলি প্রতিবারের মতো এই বারও কেকের পসরা সাজিয়ে বসেছে । তবে কেকের ব্যবসা এবারে কতটা? এই নিয়ে ফোনে ধরা গেল ওয়েস্ট বেঙ্গল কেক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরিফুল ইসলামকে। তাঁর গলায় একরকম হতাশার সুর। প্রথমেই বললেন, ফ্লুরিজ, নাহুম, মিও আমোরে, সুগার অ্যান্ড স্পাইস, মনজিনিসের ভীড় দেখে বাজার বেশ সরগরম মনে হলেও তা একরকম ভ্রান্ত ধারণার সামিল। তাদের অ্যাসোসিয়েশনের সিংহভাগ বেকারিরা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য সস্তায় কেক বানান। তারপরেও ২০২২-এ তাদের ব্যবসা ভীষণ মার খাচ্ছে। অন্য বছর নভেম্বরের ১৫ তারিখ থেকেই শুরু হয়ে যায় কেক বানানোর তোড়জোড়। এই বছর উত্তর ও মধ্য হাওড়ার বেকারিগুলিতে ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে শুরু হয়েছে বড়দিনের কাজ। চাহিদা কমে যাওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েছে কাঁচামালের। ডিম ৭ টাকা, ময়দা প্রতি কেজি ২৫ টাকা থেকে দাম বেড়ে ৩৫ টাকা। বড়দিনের প্লাম কেকে মাখন না হলে চলে না। আরিফুলের কথায়, গত এক সপ্তাহে বাজারে মাখন অমিল। বেশ কয়েক জায়গায় কালোবাজারি হচ্ছে এই উপকরণটি। এই সবকিছুর পরে রয়েছে সরকারের ১৮ শতাংশ জিএসটি। এতেই ছোট ব্যবসায়ীরা রীতিমত জেরবার হয়ে পড়েছেন। আরিফুলের কথায়, মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও একেবারে তলানিতে নেমে গিয়েছে। নয়তো সাধারণ অবস্থায় বাজারের এমন পরিস্থিতি কোনওবার দেখা যায় না। ন্যুনতম লাভ রেখেও এই বছর ক্রেতা টানতে পারছেন না অনেকে।