বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক কুঁচকে যেতে শুরু করে। ত্বকের আঁটসাঁট ভাব আর থাকে না। তাই ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে অনেকেই নানারকম পদ্ধতি অনুসরণ করেন। নানাধরনের প্রসাধনী দ্রব্য ব্যবহার করে তারুণ্য ধরে রাখার চেষ্টা করেন। মূলত এই কারণেই বায়ো রিমডেলিং পদ্ধতির আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক উপায়ে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখা যায়। বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বায়ো রিমডেলিং-এর মাধ্যমে ত্বকের তারুণ্য বেশি দিন ধরে রাখা সম্ভব। প্রসাধনী দ্রব্য মাখলে যা সম্ভব হয় না।
বায়ো রিমডেলিং কী?
এটি একটি বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া। ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখার জন্য এই প্রক্রিয়ায় ত্বকের প্রাথমিক স্তরের নিচে হাইঅ্যালুরোনিক অ্যাসিড প্রবেশ করানো হয়। ইনজেকশনের মাধ্যমে অ্যাসিডটি প্রবেশ করালে এটি ত্বকের নানা সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে। একজিমা, ব্রণ, মৃত কোষ ত্বক থেকে দূর করে ত্বকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।
বায়ো রিমডেলিং কীভাবে কাজ করে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাইঅ্যালুরোনিক অ্যাসিড ত্বকের নিচের প্রবেশ করালে মধুর মতো ধীরে ধীরে চারপাশে ছড়িয়ে যায়। এরপর ত্বকের যে যে অংশের মেরামত দরকার, সেখানে গিয়ে এটি কোশগুলোকে সাহায্য করে। এই অ্যসিডটি নানা কারণে ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ।
- আর্দ্রতা: বয়স বাড়লে ত্বকের আর্দ্রতা কমতে থাকে। এই কারণেই ত্বক কুঁচকে যেতে শুরু করে। হাইঅ্যালুরোনিক অ্যাসিড ত্বকের আর্দ্রতা বাড়িয়ে কোশগুলোকে পুষ্ট করে। এর ফলে ত্বক আগের মতো টানটান হয়ে যায়।
- ত্বকের পুনরুৎপাদন: কোনও অংশ কেটে বা ছড়ে গেলে সেখানে ত্বকের বেশ কিছু কোষ নষ্ট হয়। হাইঅ্যালুরোনিক অ্যাসিড ত্বকের সেই অংশে গিয়ে কোশ উৎপন্ন করে। এর ফলে সেখানে নতুন করে ত্বকের স্তর তৈরি হয়।
- মেলানিন উৎপাদন: এই অ্যাসিডটি ত্বকের মধ্যে মেলানিন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। মেলানিন ত্বকের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন। এই প্রোটিনটিই ত্বকের অন্যতম মূল উপাদান। হাইঅ্যালুরোনিক অ্যসিড না থাকলে মেলানিনের পরিমাণ হয়ে বেড়ে যায়, নয় কমে যায়। এর ফলে বার্ধক্য জনিত্য সমস্যা হতে পারে।
- পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: এই অ্যাসিড একটি প্রাকৃতিক শর্করাজাতীয় পদার্থ। দেখা গেছে, এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিরাপদ একটি জৈব যৌগ। এমনকি গর্ভবতী নারী বা সদ্য মায়ের শরীরেও এর কোনও কুপ্রভাব নেই। তবে ব্যবহারের আগে চিকিৎসককে নিজের রোগের ব্যাপারে জানিয়ে তবে ব্যবহার করা ভালো।