IND Vs BAN 2nd Test: Ravichandran Ashwin Full Of Praise For Bangladesh Team Despite Series Win


ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh Cricket Team) বিরুদ্ধে চাপের মুখে ফের একবার রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) নিজের ব্যাটিং দক্ষতার প্রমাণ দিলেন। এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই দ্বিতীয় দ্রুততম খেলোয়াড় হিসাবে টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০ উইকেট ও তিন হাজার রান করার নজির স্পর্শ করেছেন অশ্বিন। দ্বিতীয় ইনিংসে অনবদ্য অপরাজিত ৪২ রান করে ভারতকে ম্যাচ ও সিরিজ জেতালেন অশ্বিন। ম্যাচে মোট ছয় উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৫৪ রান করায় তাঁকেই ম্যাচ সেরা ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশের প্রশংসা

তবে ভারতকে জিতিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েও অশ্বিনের মুখে শুধুই বাংলাদেশ দলের প্রশংসা। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এই ম্যাচে বাংলাদেশ অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে। ওরা দারুণ বোলিং করেছে। তবে আমাদেরও নিজেদের রক্ষণের ওপর আস্থা ছিল। পিচগুলি একটু মন্থর ছিল বটে, তবে খুব মন্দ ছিল না। বোলাররা এই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আয়োজক দেশ আমাদের ভীষণই চাপে ফেলে দিয়েছিল। ওদের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করতেই হবে।’

চাপের মুখে শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে অশ্বিনের অপরাজিত ৭১ রানের পার্টনারশিপই ভারতকে ম্যাচ জিততে সাহায্য করে। ক্রিজে ব্যাট করার সময় ঠিক কী পরিকল্পনা ছিল ভারতের তারকা অলরাউন্ডারের?  অশ্বিন বলেন, ‘ম্যাচটা ৫০-৫০ ছিল। কঠিনভাবে লড়াই করেই এই ম্যাচটা জিততে হত। শ্রেয়স দারুণ খেলেছে। ও সিরিজ সেরা না হলে (সিরিজ সেরা হন চেতেশ্বর পূজারা) আমি হয়তো এই পুরস্কারটা (ম্যাচ সেরার) ওর সঙ্গে ভাগ করে নিতাম। এমন পরিস্থতিতে আগ্রাসন দেখিয়েই ম্যাচটা নিজেদের দখলে আনা যায়। আমি মাঠে নেমে শ্রেয়সকে যতটা সম্ভব সঙ্গ দিতে চেয়েছিলাম। সেটা করতে পেরে ভাল লাগছে।’

রাহুলের বক্তব্য

ভারতীয় অধিনায়ক কেএল রাহুল (KL Rahul) কোনও রাখঢাক না করেই স্পষ্ট জানিয়ে দেন ভারতীয় সাজঘর ম্যাচের শেষের দিকে খুবই চাপ অনুভব করছিল। তবে তা সত্ত্বেও সতীর্থদের প্রতি তাঁর আস্থা অটুট ছিল।

রাহুল বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে ক্রিজে উপস্থিত থাকা খেলোয়াড়দের ওপর ভরসা রাখাটা খুবই জরুরি। আমরা একসঙ্গে যথেষ্ট ক্রিকেট খেলেছি, তাই আস্থা ছিল যে কেউ না কেউ ক্রিজে টিকে থেকে দলকে জিতিয়েই ফিরবে। তবে মিথ্যা বলব না, আমাদের সাজঘরের সকলেই ভীষণ চাপে ছিল। পিচটা ব্যাটিংয়ের জন্য ভীষণই কঠিন ছিল। দুই ইনিংসেই ওরা আমাদের চাপে ফেলে। নতুন বলে এই পিচে ব্যাট করাটা খুবই শক্ত, তবে বল যত পুরনো হয়, ততই রান করতে সুবিধা হয়েছে। যে দল নতুন বলের বিরুদ্ধে বেশি ভাল খেলবে, সেই দলই এই পিচে ম্যাচ জিতবে।’

ভারতীয় দলের বোলিং আক্রমণ, বিশেষত ফাস্ট বোলিং বিভাগকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন রাহুল। ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বিদেশের মাটিতে যেখানেই খেলেছি, সেখানেই সাফল্য পেয়েছি। আমাদের বোলিং আক্রমণ বরাবর ভাল পারফর্ম করে দলকে জিতিয়েছে। এই সিরিজ জয়টা আমাদের পেস আক্রমণকে আমরা কেমনভাবে তৈরি করছি, তারই পরিচয়বাহক। অশ্বিন, অক্ষরও ভাল পারফর্ম করেছে। উমেশ মুশকিল পরস্থিতিতে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে। জয়দেব বহুদিন পরে জাতীয় দলে ফিরেই অনবদ্য বোলিং করেছে। সত্যি বলতে ও যে কটা উইকেট পেয়েছে, তার থেকে আরও বেশি উইকেট পাওয়া উচিত ছিল। ওরা যে চাপটা তৈরি করেছিল, অশ্বিন, অক্ষর সেটাকেই কাজে লাগিয়ে সাফল্য পায়।’ মত রাহুলের।

আরও পড়ুন: মিরাজের ৫ উইকেট সত্ত্বেও অশ্বিন-শ্রেয়সের পার্টনারশিপের সুবাদে সিরিজ জিতল ভারত