Spinach Mixed with Weeds: পালং শাকের সঙ্গে মিশে গেল গাঁজাপাতা! খেয়ে ঘোরে বশে ২০০, অস্ট্রেলিয়ায় সতর্কতা

এই ঘটনা অস্ট্রেলিয়ার। সেখানে এক জায়গায় পালং শাকের সঙ্গে গজিয়ে গিয়েছিল মাদকধর্মী গাছ। সেই পালং শাক খেয়ে ২০০ জন ঘোরের মধ্যে গিয়ে ‘হ্যালুসিনেশন’-এ আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এরপরই ফুডস স্ট্যান্ডার্ড অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডের তরফে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। তাতেই ধরা পড়ে আসল সত্যি। জানা যায়, যে সমস্ত খাবারে ওই পালং শাক গিয়েছে, সেই খাবার থেকেই এই অসুস্থতা ছড়িয়ে পড়ছে।

জানা গিয়েছে, গাঁজা উৎপাদক ওই শাক পাতার সঙ্গে পালং শাক মিশে যেতেই ২০০ জন মাথাঘোরা, ঘোরের মধ্যে থাকা, ঝাপসা দৃষ্টি শক্তির উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। ত্রমেই ছড়াতে থাকে সমস্যা। এই নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে প্রশাসন। শুরু হয় তদন্ত। তাঁদের উপসর্গগুলির মধ্যে ছিল, দ্রুত হার্ট রেট, মুখের ভিতরের অংশ শুকিয়ে যাওয়া, ত্বক শুকিয়ে যাওয়া। এমনিতেই বলা হয়, ওই বিশেষ গাছ ছুঁলেই ঘোরের সৃষ্টি হতে থাকে। শুরু হয় মাথার যন্ত্রণা, বমিবমিভাব। গত ১৮ ডিসেম্বর, নিউসাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়া, কুইন্সল্যান্ডে এমন রোগের শিকার হন ১৯০ জন। এরপর থেকেই অস্ট্রেলিয়ায়সতর্কতা জারি হয়। সকলকে সচেতন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। 

এখনও পর্যন্ত সেখানে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জানা যাচ্ছে, বহু জনই যাঁরা এই রোগের শিকার হয়েছেন তাঁরা অল্প সময়ের জন্য ঘোরের মধ্যে চলে যাচ্ছেন। কিছুটা কাল্পনিক জিনিসপত্র লক্ষ্য করছেন। তারপর আবার বাস্তবিক জীবনে ফিরে আসছেন। এই ঘটনাপ্রবাহ অল্প সময়ের জন্য হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছেস রিফেরিয়া ফার্মে ওই গাঁজা পাতা একইসঙ্গে পালং শাকের সঙ্গে গজিয়ে যায় মাটিতে। অসাবধানতাবশত তা একসঙ্গে তোলা হয়, আর বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। ভিক্টোরিয়ার ওই ফার্ম জানিয়েছে তারা নিজেরাও ঘটনার তদন্ত করছে। তবে বিষয়টি নিয়ে নাগরিকদের আতঙ্কিত হতে বারণ করছে অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন।