Food for Depression Remedies: সারা ক্ষণ মন খারাপ লাগছে? একটি চেনা খাবারই কিন্তু মন ভালো করে দেবে

মন খারাপের জন্য প্রায় সারাদিনের কাজে ক্ষতি হয়। আবার মন ভালো থাকলে অনেক কঠিন কাজই সহজে করে ফেলা যায়। তাই মন খারাপ হলে প্রথমেই মনকে ভালো রাখার চেষ্টা করা উচিত। এর জন্য চিকিৎসকরা নানা পরামর্শ দেন। সেইগুলি ঠিকমতো করতে পারলে প্রতিদিনের কাজে অনেকটাই সুবিধা হয়। তবে খাবার খেয়েও কিন্তু মন ভালো রাখা যায়। অনেকে নিজের পছন্দমতো খাবার খেতে পছন্দ করেন। সে তালিকায় তেলেভাজা থেকে বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর খাবার থাকতে পারে। খেতে বেশ আনন্দ লাগলেও এমন খাবার শরীরের জন্য মোটেই ভালো নয়। শুধু তাই নয়, এর থেকে মনেও বেশ খারাপ প্রভাব পড়ে। তবে, বিশেষজ্ঞদের কথায়, মন ভালো রাখার জন্য দই বেশ কার্যকরী। মন খারাপ হলে কিছুটা দই খেয়ে নেওয়া যেতে পারে। এতেই ভালো হয়ে যাবে মন। মন ভালো রাখার পিছনে বেশ কিছু কারণে দই গুরুত্বপূর্ণ।

কীভাবে দই মন ভালো করে?

চিকিৎসকের কথায়, মস্তিষ্কের বেশ কিছু হরমোন মন ভালো রাখা বা খারাপ রাখার কাজে সাহায্য করে। এই হরমোনগুলিকে বিজ্ঞানের ভাষায় ভালো হরমোন বা গুড হরমোন বলা যায়। এই হরমোনগুলিকে নিউরোট্রান্সমিটার বলা হয়। গুড হরমোনের ক্ষরণ বেশি হলে মন খারাপ ধীরে ধীরে কমে যায়। চিকিৎসকের কথায়, দই খেলে গুড হরমোনের ক্ষরণ অনেকটাই বেড়ে যায়। এতে ধীরে ধীরে কমে আসে মনের খারাপ ভাব।

দইয়ের মধ্যে ল্যাক্টোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া থাকে। এটি শরীরে থাকা মাইক্রোবায়োমগুলির চরিত্রে বদল আনে। এর ফলেই ধীরে ধীরে কেটে যায় মানসিক অবসাদ। মস্তিষ্কের বেশ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বাড়লে মন খারাপ বেড়ে যায়। দই এই হরমোনগুলির ক্ষরণ কমাতে সাহায্য করে। এতে মন খারাপ হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়।

বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মন খারাপ হলে শরীরে ল্যাক্টোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। এর বদলে শরীরে কাইনুরেনাইনের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই কাইনুরেনাইন স্ট্রেসের মাত্রা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। দই ল্যাক্টোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে কাইনুরেনাইন হরমোনের পরিমাণ কমে যায়।

যখন তখন কী দই খাওয়া যায়?

মন তো যখন তখন খারাপ হতে পারে, তবে দই সবসময় দই খাওয়া যায় না। বিশেষত যাদের সর্দিকাশির ধাঁচ রয়েছে, তাদে বিকেলের পর দই না খাওয়াই ভালো। এতে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার প্রবণতা থাকে।