Biplab Ojha: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ‘অভিমানে’ তৃণমূল ছাড়লেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিপ্লব ওঝা

মিটিং-মিছিলে ডাকে না দল। অভিমান করে তৃণমূল ছাড়লেন বীরভূমের অনুব্রত ঘনিষ্ট নেতা বিপ্লব ওঝা। তৃণমূল ছাড়ার পর কোন দলে যোগ দেবেন তা স্পষ্ট করেনি তিনি। তবে একাধিক দল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে জানিয়েছেন বিপ্লব।

তাঁর অভিযোগ গত এক বছর ধরে তৃণমূলের কোনও কর্মসূচিতে তাঁকে ডাকা হচ্ছিল না। তিনি বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে আমি তৃণমূলে যুক্ত আছি। আমি আজ থেকে তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করব। আমি রাজনীতির লোক। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলতে ভালবাসি।’ এরপরই তাঁর আক্ষেপ,’বিগত এক বছর ধরে তৃণমূলের কোনও মিটিং-মিছিলে আমাকে ডাকে না। আমাকে নিস্ক্রিয় করে রেখেছিল। ওরা ভাবছে যে আমার কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। যেখানে নিজের কোনও গ্রহণযোগ্যতা থাকে না, সেখানে চোখ বুজে থাকারও কোন মানে হয় না। তাই আমি দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

বিজেপি না কি পুরনো দল কংগ্রসেই ফিরছেন?

বিজেপি না কি তাঁর পুরনো দল কংগ্রেসেই ফিরবেন বিপ্লব ওঝা তা স্পষ্ট করেননি। তাঁর কথায়, ‘রাজনীতি যখন করি, রাস্তা অনেক খোলা থাকছে। তবে এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। অনেক সর্বভারতীয় দল আছে বিজেপি, কংগ্রেস।’ তবে সিপিএমে তিনি যোগ দেবেন না স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিপ্লব ওঝা। তিনি বলেন, ‘আমি বামপন্থায় বিশ্বাস করি না। ডানপন্থী রাজনীতির সঙ্গে বরাবর যুক্ত থেকেছি। অন্য দলের যাওয়ার রাস্তা তো খোলা আছে।’

প্রসঙ্গ, ২০০৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বিপ্লব ওঝা। সেই সময় তিনি নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি দল বদল করায় পুরসভাটি তৃণমূলের দখলে চলে যায়। ২০১২ সাল পর্যন্ত পুরপ্রধান ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে নলহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে লড়ে হেরে যান। পর তাঁকে বীরভূমের জেলা সভাপতি করা হয়। তিনি জেলা পরিষদের সদস্যও ছিলেন।

শুভেন্দুর সভায় যাবেন কি বিপ্লব ওঝা?

অনুব্রতহীন বীরভূমে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সভা করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভায় কি তিনি যাবেন? উত্তরে বিপ্লব ওঝার সটান জবাব, না। তিনি বলেন,’আমার সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বিভিন্ন দল আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে।’

সমানেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে অনুব্রত ঘনিষ্ট বিপ্লব ওঝার দলত্যাগ একটা ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই ধাক্কা কতটা বড় তা সময় বলবে।