SSC Scam: ৯জন শিক্ষকের তালিকা CBI’র হাতে, বিরাট অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে

বাংলায় শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির ঘটনায় এবার বড় মোড়। সূত্রের খবর, এবার সিবিআইয়ের হাতে ৯জন শিক্ষকের তালিকা। তাদের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। একাধিক সূত্রের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করেছে সিবিআই। সেই তালিকায় রয়েছে একাধিক স্কুল শিক্ষক ও কলেজের অধ্য়াপকের নাম। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে তারাই মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করতেন। এবার তারাই সিবিআইয়ের রাডারের নীচে। ইতিমধ্যেই তাদের মধ্য়ে একজনকে জেরা করা হয়েছে। বাকিদের জেরা করার প্রস্তুতি শুরু করছে সিবিআই। অভিযোগ তারাই মাঝে কলকাঠি নাড়তেন।

সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে সিবিআইয়ের হাতে যে তালিকা রয়েছে তার মধ্যে ৫জন কলেজের অধ্যাপক ও বাকি ৪জন স্কুল শিক্ষক। এবার তাদের ভূমিকাই খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ঠিক কী অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে?

সূত্রের খবর, অযোগ্যদের সঙ্গে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করেছিলেন তারা। আসলে তারা মূলত ফড়ের কাজটি করেছিলেন বলে অভিযোগ। কিছুক্ষেত্রে অযোগ্যরা সরাসরি কমিশনের চাঁইদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। আর তাদের সঙ্গে অযোগ্যদের মাঝে সেতুবন্ধন করেছিলেন কয়েকজন শিক্ষক। এবার তাদের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই গোটা ঘটনা সম্পর্কে আরও গভীরতায় যেতে চাইছে।

অনেকের মতে স্কুল, কলেজের শিক্ষক হওয়ার সুবাদে শিক্ষাজগতের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে তাদের অবাধ যাতায়াত ছিল। এমনকী শাসকদলের সঙ্গেও তাদের ঘনিষ্ঠতা ছিল। আর সেই ঘনিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে ঘুরপথে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে তারাই কলকাঠি নাড়েন বলে অভিযোগ।

এদিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তারা ঠিক কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিতে দিতেন, কমিশনের কাদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল, আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকলে ঠিক কীভাবে লেনদেন হত, কোথায় টাকা পৌঁছে দেওয়া হত এসব সম্পর্কেই জানতে চাইছে সিবিআই।

ওয়াকিবহাল মতে, বাস্তবিক অর্থেই পেঁয়াজের খোসা ছাঁড়ানোর মতো করে একের পর এক দুর্নীতির খোলস ছাড়ানো শুরু হয়েছে। আর সেখানেই এবার সামনে আসছে একাধিক শিক্ষকের নাম। তারাই দুর্নীতির গোটা কর্মকান্ডে একেবারে সেতুবন্ধনের কাজ করেছিলেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল চরমে।

তবে তারা বর্তমানে ঠিক কোন স্কুলে কর্মরত ও কোন কলেজে পড়াচ্ছেন তা নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে মধ্যস্থতাকারী শিক্ষকদের সমস্ত ভূমিকাই খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আপাতত ৯জন শিক্ষক সিবিআইয়ের স্ক্য়ানারের নীচে। কিন্তু আরও কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।