ডাকাতের বউ আসল পুলিশ,ভবানীপুরে CBI সেজে ডাকাতির পেছনে কনস্টেবলের হাত! যেন সিনেমা

দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের রূপচাঁদ লেনের একটি ফ্ল্য়াটে সম্প্রতি সিবিআই সেজে হানা দিয়েছিল ডাকাতদল। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ও সোনার অলঙ্কার লুঠ করে তারা গা ঢাকা দেয়। এদিকে এই ঘটনার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। এদিকে অভিযুক্ত কয়েকজনকে পরে গ্রেফতার করা হয়। আর তাদের জেরা করেই পুলিশের হাতে আসে বিস্ফোরক তথ্য। প্রথম থেকেই তদন্তকারীরা এই ঘটনায় অন্য় রকম কিছু সন্দেহ করছিলেন। সিবিআই কীভাবে অভিযান চালায় সেটা ডাকাতদল কীভাবে জানল তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে। পরে টানা জেরায় তদন্তকারীরা জানতে পারেন আসলে এই ডাকাতদলের যে চাঁই তার বউ হলেন আসল পুলিশ। আর পুলিশ বউয়ের কাছ থেকে পুলিশের আদবকায়দা রপ্ত করে ফেলেছিল সে। আর সিবিআই সেজে ডাকাতি করার সময় সেই নিনজা টেকনিকটাই কাজে লাগিয়েছে দুষ্কৃতীরা।

সূত্রের খবর, ওই দুষ্কৃতীর স্ত্রী উত্তর ২৪ পরগনার একটি থানায় কর্মরত রয়েছেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। তিনি আবার দাবি করেছেন তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছে ওই যুবক।

তবে এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ, এই ডাকাতদলের মদতদাতা আবার কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবল। তার পাকা মাথাই কাজ করেছে ডাকাতির ব্লু প্রিন্টের পেছনে। তিনিই নাকি ছকে দিয়েছিলেন কীভাবে সিবিআই সেজে ডাকাতি করতে হবে। গোটা ঘটনায় এভাবেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য়। এদিকে ওই অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গেও কথা বলবেন তদন্তকারীরা।

সূত্রের খবর, ওই কনস্টেবল পুলিশ বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত। অভিযুক্তরা জেরায় জানিয়েছে, কীভাবে সিবিআই সেজে ডাকাতি করতে হবে তার প্রশিক্ষণ দিয়েছিল ওই কনস্টেবল। তিনি নাকি সব কিছু ছকে দিয়েছিলেন। এদিকে ধৃতদের সঙ্গে ওই কনস্টেবলের ফোনে যোগাযোগের কিছু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ সেসব খতিয়ে দেখছে।

অন্যদিকে ওই মহিলা পুলিশকর্মীর দাবি, স্বামী যে ভুয়ো সিবিআই অফিসার এটা তিনি পরে বুঝতে পারেন। কিন্তু সংসারটা যাতে টিকে থাকে সেই চেষ্টা তিনি চালিয়ে গিয়েছেন। তবে এবার যে তার স্বামী কোনও অপরাধ করেছে সেটা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। কিন্তু এনিয়ে তার স্বামী কোনও উচ্চবাচ্য করতে চায়নি। তবে ওই মহিলা পুলিশের সমস্ত কথাই যাচাই করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। এভাবে সর্ষের মধ্যে ভূত থাকার ঘটনাকে ঘিরে ফের প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুলিশ।