দলিতদের গ্রামে জলের ট্যাঙ্কে মেশানো হয়েছে মানুষের পটি, অসুস্থ অনেকে, কে করল এসব?

মানুষের মল পাওয়া গিয়েছে জলের ট্যাঙ্কের মধ্যে। একেবারে ওভারহেড ট্যাঙ্কের মধ্যে মানব মল ভরে দেওয়ার অভিযোগ। তামিলনাড়ুর পুদুক্কোটাই গ্রামের ঘটনা। যে গ্রামে এটা হয়েছে সেখানে তফসিলি জাতিভুক্ত মানুষের বাস। এদিকে কিছুদিন আগেই বহু শিশু ওই জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়়ে বলে খবর। পরে দেখা যায় জলের মধ্যে মেশানো হয়েছে মানুষের মল।

আসলে কিছুদিন ধরে শিশুদের পাতলা পায়খানা হচ্ছিল। সঙ্গে বমি। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন জলের উৎসটা একবার পরীক্ষা করে দেখতে। আর তখনই বোঝা যায় ডাল মে কালা হ্যায়। এদিকে গ্রামবাসীরা দেখেন জল থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। তারপরই তারা ট্যাঙ্কটা পরীক্ষা করে দেখেন। আর তারপরই ধরা পড়ে আসল ব্যাপারটা। তারা দেখেন মানুষের পটি একেবারে বোঝাই করা ওভারহেড ট্যাঙ্কে।

এদিকে ঘটনার পরেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তদন্তে নামে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এদিকে এক শিশুর বাবার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মামলা রুজু করে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এক পুলিশ আধিকারিকের মতে, মনে হয় তিন চারদিন আগে ঘটনাটা হয়েছে। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। তাদের হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। একটা মামলা করা হয়েছে। কিন্তু গ্রামবাসীরা কারোর নাম বলেননি। কোনও সম্প্রদায়ের নামও বলেননি। তারা শুধু বলেছেন এমন একটা ঘটনা হয়েছে। এর পেছনে কারা রয়েছে তা খুঁজে বের করার কথা বলেছে। সেটাই করা হচ্ছে।

জেলাশাসক কবিতা রুমু, জেলা পুলিশ সুপার বন্দিতা পাণ্ডে জানিয়েছেন, গ্রামের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এখনও গ্রামে জাতপাতের ব্যাপার রয়েছে। এখনও তফসিলি জাতিভুক্তদের গ্রামের আয়ানার মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয় না।এখনও চায়ের দোকানে জাতপাতের বৈষম্য করা হয়। তথাকথিত উঁচু জাতের লোকজন যে জলের পাত্রে খান সেখানে দলিতদের খেতে দেওয়া হয় না।এই ধরনের জাতপাতের ব্যাপারগুলো এখনও রয়েছে এখানে।

এরপরই জেলাশাসক ও এসপি দলিতদের নিয়ে গিয়ে গ্রামের মন্দিরে ঢুকিয়ে দেন। কেউ যদি এই ধরনের জাতপাতের ভেদাভেদ করেন তবে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এর সঙ্গেই মন্দির কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এটা একদিনের ব্যাপার নয়। আগামী দিনে দলিতদের মন্দিরে ঢুকতে দিতে হবে। এখানে বাধা দেওয়া যাবে না।