Omicron new booster: সূঁচ ফোটবার ভয় নেই আর, ওমিক্রন ঠেকাতে নতুন কায়দায় বুস্টার, নেবেন কীভাবে

কোভিড ভাইরাস প্রতিরোধের টীকা নিতে অনেকেই ভয় পান। এদিকে দিন দিন বেড়েই চলেছে ওমিক্রনের ত্রাস। সংবাদ মাধ্যম সূত্র অনুযায়ী, চিনে ইতিমধ্যেই বিপুল সংখ্যক মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত। এই অবস্থায় কোভিডের বিধিনিষেধ মেনে চলা ভীষণভাবে জরুরি।

ওমিক্রন প্রতিরোধে যেমন নিয়মিত মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। তেমনই সময়মাফিক টীকা নেওয়াও একান্ত প্রয়োজন‌। ইনজেকশন ও সংক্রমণের জোড়া ভয়ে অনেকেই টীকা নিতে চান না। নানা কথায় এড়িয়ে চলেন। তবে ভারত বায়োটেকের সাম্প্রতিক টীকা সেই ভয় দূর করতে চলেছে। কোভিড টীকাপ্রদানের কায়দায় সম্পূর্ণ বদল আনতে চলেছে ভারত বায়োটেকের টীকা। সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, টীকাটি নাকের ড্রপ মারফত দেওয়া হবে । তবে একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, যাঁরা ইতিমধ্যে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের নতুন করে টীকা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এখনও বুস্টার ডোজ নেননি এমন ব্যক্তিদের জন্যই এই সুবিধা আসতে চলেছে। পাশাপাশি ১৮ বছর বয়সের উপরে যাঁরা কোভ্যাকসিন বা কোভিশিল্ড নিয়েছেন, তাদের জন্যই থাকছে এই বিশেষ নাসাল ড্রপ। জানা যাচ্ছে, জানুয়ারির চতুর্থ সপ্তাহ থেকে সবার জন্য ডোজটি চালু হতে পারে। কিউআরজি হাসপাতালের ফুসফুস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গুরুমীত সিং চাবরার কথায়, নজরদারির প্রসঙ্গে ডিজিসিআই স্পষ্ট জানিয়েছে এই বুস্টার ডোজ শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। কোভিশিল্ড বা কোভ্যাকসিন আগে থেকে নেওয়া থাকলে তবেই এটি নেওয়া সম্ভব।

কীভাবে দেওয়া হবে বুস্টার ড্রপ?

চিকিৎসক চাবরা জানাচ্ছেন, এই ডোজটি অ্যাডেনো ভাইরাসের রিকম্বিন্যান্ট রেপ্লিকেশনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এটির নাম রাখা হয়েছে হেটেরোলগাস বুস্টার অর্থাৎ প্রাথমিক টীকার পর যে টীকা দেওয়া হয়।‌ এটির প্রতি ফোঁটায় ০.৫ এমএল টীকা থাকে। মোট আটটি ফোঁটা একবারের বুস্টার হিসেবে দেওয়া হবে।

কীভাবে কাজ করে বুস্টার ডোজ?

চিকিৎসকের কথায়, এই বুস্টার ডোজ যেকোনও ব্যক্তির প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিউট্রিলাইজিং আইজিজি (IgG), মিউকোসাল আইজিএ এবং টি সেলের কার্যকারিতা বাড়ানোই এর কাজ। নাকের মধ্যে এই ফোঁটা দেওয়ার নির্দিষ্ট কারণও আছে। এটি নাকের মিউকাসে কোভিড ভাইরাস ধারণের অঙ্গ হিসেবে কাজ করে। এতে প্রাথমিক মুহূর্তেই ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। এর ফলে ব্যক্তি নিজেও আক্রান্ত হন না। আবার অন্যদেরও সংক্রমিত করার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়।