Siliguri Incident: ক্যানসার আক্রান্ত শয্যাশায়ী রোগী পড়ে রইল ঘরে, উধাও স্ত্রী–ছেলে শিলিগুড়িতে

শরীরে ক্যানসার ধরা পড়েছে। আর তার পর থেকেই বাড়ির সদস্যদের আচরণ পাল্টে গেল। শয্যাশায়ী ব্যক্তির পাশ থেকে সরে গেল সবাই। তিনি যাঁদের আপন ভেবেছিলেন—সেই স্ত্রী, ছেলেও এখন উধাও। বাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন স্ত্রী–সহ বিলেত ফেরত ছেলে। অমানিবকতার চরম এক নজির দেখা গেল শিলিগুড়ির সূর্যনগরে। ডাক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর এখন একা বাঁচার লড়াই। কাজের লোকের ভরসাতে দিন কাটছে শয্যাশায়ী ক্যানসার রোগীর।

ঠিক কী ঘটেছে শিলিগুড়িতে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্যান্সার আক্রান্ত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীকে ফেলে রেখে চলে গিয়েছেন স্ত্রী এবং বিলেত ফেরত ছেলে। এই পরিস্থিতিতে জীবন–যুদ্ধের লড়াইটা একাকী লড়তে হচ্ছে। তবে পাশে আছেন কাউন্সিলর এবং প্রতিবেশীরা। এমন অবস্থাতেও একাকীত্বের যন্ত্রণা সহ্য করে গৃহত্যাগ করা স্ত্রী কিংবা বিলেত ফেরত পুত্রের নামে কোনও অভিযোগ করতে অস্বীকার করেছেন ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তি। এখন শয্যাশায়ী এই বৃদ্ধের নাম স্বপনেশ ভৌমিক (‌৬৮)‌।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ডাক বিভাগের এই অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যানসার। নিজের ঘরে একাই শুয়ে রয়েছেন শিলিগুড়ি সূর্যনগরের বাসিন্দা। আর আচমকাই তাঁকে ফেলে রেখে গৃহত্যাগ করেছেন স্ত্রী –সহ বিলেত ফেরত একমাত্র ছেলে। অসুস্থ ক্যানসার রোগীর বড় ভরসা এখন প্রতিবেশী–সহ শিলিগুড়ি পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লক্ষ্মী পাল। তাঁরাই সাধ্যমত চেষ্টা চালাচ্ছেন ডাক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর স্ত্রী এবং ছেলেকে ঘরে ফেরাতে। খোঁজখবর করছেন। তবে শয্যাশায়ী বাবার ছেলে কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার।

ঠিক কী বক্তব্য ওই বৃদ্ধের?‌ রোগভোগের যন্ত্রণা বুকে নিয়েই অসুস্থ বৃদ্ধ স্বপনেশ ভৌমিক বলেন, ‘‌ক্যানসারের ওষুধগুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়তো আমাকে ক্রমশ খিটখিটে এবং বদমেজাজি করে তুলেছিল। তাই দুঃখ পেয়ে ওরা ঘর ছেড়েছে। ভুল বুঝতে পারলে ঠিক ফিরে আসবে।’‌ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত একক লড়াই এখন দৃষ্টান্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই প্রতিবেশীরা বাড়ি এসে যতটা সম্ভব পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন।