Riya Kumari Murder: বাগনানে অভিনেত্রী হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার দেওর, এবার আসরে নামলেন রিয়ার শ্বশুরমশাই

ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রী রিয়া কুমারীর হত‌্যাকাণ্ডে গ্রেফতার দ্বিতীয়জন। স্বামীকে জেরা করে আগেই পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। এবার আজ, শুক্রবার পুলিশের জালে উঠে এল দেওর। গ্রেফতার হওয়া দেওরের নাম সন্দীপ কুমার। তাঁর বয়ানেও বিল্তর অসঙ্গতি মেলায় জেরার পর গ্রেফতার করা হয় সন্দীপকে। বুধবার রাতে রিয়ার স্বামী প্রকাশ কুমারকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে রিয়া কুমারী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এবার মৃত অভিনেত্রীর ভাই অজয় রানার বিরুদ্ধেই পালটা খুনের অভিযোগ করলেন রিয়ার শ্বশুরমশাই ধনেশ্বর রাম। এভাবে মার্ডার কেস গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। কারণ ধনেশ্বর রামের ছেলেই প্রকাশ কুমার।

ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, রিয়া প্রকাশের দ্বিতীয় স্ত্রী। রিয়ার নামে বড় অঙ্কের টাকার জীবনবিমা রয়েছে। আবার ইউটিউবে ক্রমশ জনপ্রিয়তা বাড়ায় ভাল অর্থ উপার্জন হচ্ছিল। রিয়ার দাদা অজয় জানান, রিয়ার টাকাতেই গাড়ি কিনেছিলেন প্রকাশ। স্ত্রীকে ঢাল করে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণও নিয়েছিলেন। এমনকী সংসার চলত রিয়ার টাকাতেই। টাকাপয়সা নিয়েই প্রকাশ–রিয়ার মধ্যে অশান্তি শুরু হয়েছিল। আর প্রথম স্ত্রী সারদার সঙ্গে প্রকাশের যোগাযোগ থাকার খবর প্রকাশ্যে আসায় দু’জনের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আইনত বিচ্ছেদ হয়নি প্রকাশের। তারপরেও রিয়া–প্রকাশের বিয়ে হয়েছিল মন্দিরে মালাবদল করে। মঙ্গলবার রাতে রিয়া এবং মেয়েকে নিয়ে কলকাতা রওনা দেয় প্রকাশ।

এদিকে প্রকাশ কুমারের বাবা ধনেশ্বর রামের অভিযোগ, রিয়া উঁচু বংশের হওয়ায় আর আমরা নিচু জাতের হওয়ায় অজয়–সহ তাঁর পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। এর আগে সম্পর্ক থেকে সরে আসার জন্য অজয় আমার ছেলে ও বউমা রিয়াকে হুমকি দিয়েছিল। এই খুনের পিছনে অজয়ের হাত আছে। আর তাই নিজেকে বাঁচাতে আমার ছেলেদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছে। এই অভিযোগ তখন করা হচ্ছে যখন রিয়া কুমারী হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর স্বামী প্রকাশ কুমার এবং ভাই সন্দীপ কুমার। দুই ছেলে গ্রেফতার হতেই তাঁর বাবার এই মন্তব্য হত্যা রহস্যকে গুলিয়ে দিতে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, প্রকাশ গ্রেফতার হতেই হাওড়ার বাগনানে গা–ঢাকা দিয়েছিল সন্দীপ। বাগনানের একটি গোপন ডেরা থেকে সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়। রিয়া কুমারীর পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা এফআইআরে এই সন্দীপের নাম ছিল। প্রকাশের ছিনতাইয়ের দেওয়া তত্ত্ব আসলে ‘বানানো’। কারণ সিসিটিভি –র ফুটেজে অন‌্য কোনও গাড়ি আসার প্রমাণ নেই। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টও বলছে, ১২ ঘণ্টা আগে অভিনেত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। আর ১২ ঘণ্টা আগে প্রকাশ বাগনানে ঢোকেনি। ঘুমন্ত অবস্থায় রিয়াকে খুন করা হয়েছে। মাথার খুলি ফেটে গিয়েছে। খুনের আগে কোনও ওষুধ খাইয়ে রিয়াকে আচ্ছন্ন করে দেওয়া হয়েছিল কি না সেটা জানতে দেহের নমুনা ভিসেরা টেস্টের জন্য পাঠানো হচ্ছে।